ফাঁসিতে আত্মহত্যা এক ব্যক্তির

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুুরাইবাড়ি, ১০ এপ্রিল৷৷ আর্থিক অভাব ও ঋণের যন্ত্রণা সইতে না পেরে নিজ ঘরে স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা এক ব্যক্তির৷ এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন বজেন্দ্র নগর এলাকায়৷ বজেন্দ্র নগর গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের শ্বশুরবাড়িতে ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা এক ব্যক্তির৷ মৃত ব্যক্তির নাম প্রণয় দাস (৩২) পিতা মৃত প্রফুল্ল দাস৷ বাড়ি বজেন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডে৷ 

বিবরণে প্রকাশ,২০০৭ সালে বজেন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের সুশান্ত দাসের মেয়ে প্রভাতী দাস এর সাথে শাস্ত্র মতে বিবাহ হয় প্রণয় দাসের৷ বর্তমানে তার দুটি মেয়ে ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে৷ বিবাহের পর থেকে নানা অর্থনৈতিক অভাব অনটনে পড়ে প্রণয়৷ প্রণয় দাস পেশায় দিনমজুরের কাজ করতো৷এমনকি নানা জায়গায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে প্রণয়৷ সে দীর্ঘদিন যাবত বজেন্দ্র নগর গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে ছিলনা৷ অন্যত্র বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত দুই কন্যা ও এক পুত্র কে নিয়ে৷ ৪-৫ মাস পূর্বে ৪ নং ওয়ার্ডের শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নেয় প্রণয়৷ কিন্তু গতকাল গভীর রাতে স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা প্রনয়ের মৃতদেহ দেখতে পায় স্ত্রী৷ সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানায় ও প্রণয় দাসের বাড়ির লোকজনের৷ ঘটনাস্থলে ছুটে যান কদমতলা থানার পুলিশ ও প্রণয় দাসের আত্মীয় পরিজন৷পুলিশ মৃতদেহটি ফাঁসি থেকে নামিয়ে কদমতলা মর্গে নিয়ে আসেন ময়না তদন্তের জন্য৷

ময়নাতদন্তের পর মৃত দেহটি পাশের আত্মীয় পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ তবে কদমতলা থানার এ এস আই সঞ্জীব সরকার জানিয়েছেন উনাদের প্রাথমিক ধারণা সেটি আত্নহত্যাই৷অপরদিকে প্রণয় দাসের আত্মীয়-পরিজনদের অভিযোগ প্রণয় দাসের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়৷ তবে পুলিশি তদন্তে কি বেরিয়ে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়৷ তবে প্রণয় দাসের মৃত্যুতে ওটা পরিবারে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *