নয়াদিল্লি, ২ এপ্রিল (হি.স.): নিজের শাস্তি যাতে স্থগিত রাখা হয়, এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হার্দিক প্যাটেল| শাস্তি যদি বহাল থাকে, তাহলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না এই তরুণ নেতা| সে জন্যই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এম এম শান্তনাগৌদার এবং বিচারপতি নবীন সিনহার বেঞ্চে জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন হার্দিক| কারণ তিনি এবারের লোকসভা ভোটে লড়তে চান| তাছাড়া মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হল-৪ এপ্রিল| কিন্তু, শীর্ষ আদালেত খালি হাতেই ফিরতে হল হার্দিককে| হার্দিকের জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত| হার্দিকের জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘২০১৮ সালের আগস্ট মাসেই রায় দেওয়া হয়েছিল| তাহলে এত জরুরি কিসের?’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে হার্দিক যখন পাতিদার আন্দোলেনর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাধানো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়| মেহসানার দায়রা আদালত তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করে| দু’বছরের জন্য তাঁর জেলও হয়| তার বিরুদ্ধে আপিল করলে গুজরাট হাইকোর্ট ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে জানায়, শাস্তি বহাল থাকবে| কিন্তু, তাঁকে জেলে থাকতে হবে না| সেই শাস্তির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি| বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ আছে ও জনপ্রতিনিধি আইন রয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা রয়েছে কেউ যদি দু’বছর বা তার চেয়ে বেশি সময়ের জন্য দোষীসাব্যস্ত হন, তাহলে সেই ব্যক্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না| আগামী ২৩ এপ্রিল গুজরাটে ভোট| কংগ্রেসের টিকিটে গুজরাটের জামনগর থেকে লড়তে চাইছেন হার্দিক| গত ১২ মার্চই কংগ্রেসেই যোগ দিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সি এই তরুণ নেতা| কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে হার্দিকের ভাগ্য নির্ধারিত হল না|