নয়াদিল্লি, ৩১ মার্চ (হি. স.) : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে দুটি আসন থেকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বরাবরের মতো উত্তরপ্রদেশের আমেঠি আসন ছাড়াও কেরালার ওয়ানাদ কেন্দ্র থেকেও প্রার্থী হবেন তিনি। রবিবার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনি এই ঘোষণা করেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে কেরল কংগ্রেসের কর্মীরা কেরল থেকে রাহুল গান্ধীকে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কর্ণাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে মূলত এই দাবি উঠেছিল। অবশেষে কেরলের ওয়ানাদ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার আবেদনে সম্মতি জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী বলে জানিয়েছেন এ কে অ্যান্টনি।

কংগ্রেস পার্টির সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের আমেঠির পাশাপাশি কেরলের ওয়ানাদ আসন থেকে এবার ভোটে লড়বেন রাহুল গান্ধী। যা ইতিমধ্যেই বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা। বিরোধীদের অনেকের মতে, আমেঠি থেকে জিততে পারবেন না এমন ভয় পেয়েই কেরলের ওয়ানাদ থেকে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা পাল্টা বলেছেন, \”নরেন্দ্র মোদী গুজরাট ছেড়ে বারাণসী থেকে কেন প্রার্থী হয়েছিলেন? উনিও কি ভয় পেয়েছিলেন না আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না? এগুলো নিতান্তই শিশুসুলভ এবং অপরিণত মন্তব্য। স্মৃতি ইরানি এবার হারের হ্যাটট্রিক করবেন।\” উল্লেখ্য, গত ২০১৪ লোকসভা ভোটে আমেঠি কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধী ১ লক্ষের সামান্য বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানিকে। কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ফারাক ছিল ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯০৩ ভোটের। এবারও আমেঠি আসনে বিজেপি নেতৃত্ব স্মৃতি ইরানিকেই প্রার্থী করেছে। কেরল কংগ্রেসের প্রধান মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রণ শনিবার জানিয়েছেন, কেরলের ওয়ানাদ কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল গান্ধী। কর্ণাটক সীমানা এলাকার এই ওয়ানাদ আসন বহুদিন ধরেই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। মাসখানেক আগে এই আসন থেকে রাহুল গান্ধীকে ভোটে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে কেরল কংগ্রেস সূত্রে খবর। এর আগে ইন্দিরা গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী দু’জনেই দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটক থেকে লোকসভা ভোটে লড়েছেন। ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী চিকমাগালুর আসন থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধী আমেঠির পাশাপাশি বেল্লারি আসন থেকে ভোটে লড়েন এবং দুটি কেন্দ্র থেকেই জেতেন। এবার রাহুলও ঠাকুমা, মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যকেই বেছে নিলেন ভোটে লড়ার জন্য।