নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ৷৷ ই-রিক্সা চালকদেরও আইনের অধীন নিয়ে আসা হয়েছে৷ তাদের ড্রাইভিং লাইন্সে দেওয়া শুরু হয়েছে৷ ফলে, এখন থেকে ই-রিক্সা চালকদেরও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে৷ পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় একথা জানিয়েছেন৷ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ই-রিক্সা গুলির উপর লাগাম টানার জন্য দাবি উঠেছে৷ উচ্চ আদালতের রায়ে রাজ্যে বর্তমানে ২৯টি ডিলার ই-রিক্সা বিক্রির জন্য বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে৷ রাজ্যে ই-রিক্সা চালু হওয়ার সময় থেকে এই যান নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কোনও বিধি আরোপ করা ছিল না৷ ই-রিক্সা চালকরাও নিজেদের খেয়াল খুশি মত রাস্তায় যান বাহন চালাতেন৷

ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা দুর্ঘটনার মুখে পড়লেও কিংবা বেআইনি কাজ করলেও সহজে তাদের চিহ্ণিত করে শাস্তি দেওয়া যেত না৷ ই-রিক্সা চালকদেও ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতা মূলক করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের৷ ৩০তম সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহ উদ্যাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ই-রিক্সা চালকদের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ করা হয়েছে৷ প্রণজিৎ সিংহ রায়ের কথায়, প্রত্যেকটি ই-রিক্সাকে সরকারি ভাবে নথিভুক্ত হতে হবে৷ এর জন্য সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, ই-রিক্সা চালকদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবির কারণে এই সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ ৩১ মার্চ ২০১৯ সালের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত ই-রিক্সা নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ তিনি সাফ জানিয়েছেন, ওই সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কোনও ই-রিক্সা রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না৷