BRAKING NEWS

সিবিআই-কলকাতা পুলিশ দ্বন্দ্বে উত্তাল সংসদের উভয়কক্ষ

নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : কলকাতা পুলিশ-সিবিআই দ্বৈরথে সংসদের উভয় কক্ষে সরব তৃণমূল সংসদেরা। যার জেরে দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা এবং লোকসভা।লোকসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার মাত্র পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআই হানার প্রতিবাদে লোকসভার ভেতরে মুখর হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদেরা। দুপুর ২টো নাগাদ যখন অধিবেশন ফের বসে তখন অধিবেশন কক্ষে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল সাংসদেরা। সিবিআই তোঁতা পাখি এবং চৌকিদার চোর স্লোগান দিতে তৃণমূল সাংসেরা। সুমিত্রা মহাজন সবাইকে শান্ত হতে বললেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না। সংসদ বিষয়কমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর রাষ্ট্রপতি ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।

কিন্তু বিরোধীদের হই হট্টগোলের জেরে লোকসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষা।অন্যদিকে রাজ্যসভায় অধিবেশন বসা মাত্র কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে সিবিআই হানায় বিষয়ে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল সাংসদেরা। বাধ্য হয়েই অধিবেশন মুলতুবি করে দেয় চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।


রবিবার থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে সব বিরোধী দলগুলির মধ্যে একটি আলোচনা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়ে যায় এগারোটায় অধিবেশন শুরু হলেই তারা একযোগে সরকারকে আক্রমণ করবে।এদিন তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভায় আলোচনা চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। আম আদমি পার্টির তরফেও আলোচনার জন্য নোটিশ দেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। একই নোটিশ দেওয়া হয় লোকসভাতেও। কিন্তু সেই নোটিশ গৃহীত হয়নি। তার পরেই বিরোধীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূলের নেতৃত্ব ১৫টি দল সংসদে সিবিআই নিয়ে আলোচনার জন্য তুমুল দাবি করে। রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ সংসদের বাইরেও সিবিআই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। সেখানেও কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা তৃণমূলকে সমর্থন করে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আসাকে কেন্দ্র করে কার্যত কলকাতা পুলিশ ও সিবিআইয়ের ‘যুদ্ধ‘-এ উত্তপ্ত কলকাতা। অভিযোগ, আগাম অনুমতি না-নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের এই হানা দেওয়ায় তাদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ।সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার সিবিআই-এর নজরে রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই কারণে রাজীব কুমারের খোঁজ মিলছে না বলেও দাবি করা হয়েছিল এক প্রতিবেদনে। পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়িয়ে রবিবার তোপ দাগেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *