নাগপুর, ২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : কোনও রাজনৈতিক দলের নন ভগবান রাম। তিনি গোটা দেশের। তাই রামের নামে সমস্ত সাধুদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব।
শনিবার নাগপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, ‘ভগবান রাম কোনও রাজনৈতিক দলেন নন। তিনি গোটা দেশের। তাই রামের নামে ও তাঁর ভজনায় সমস্ত সাধুদের সংঘবদ্ধ হওয়া উচিত। এই নিয়ে গোটা দেশে যেন কোনও ভুল বার্তা না পৌঁছয়। সৎ থেকে সাধুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তাই আমি সকল শঙ্করাচার্য এবং সাধুদের অনুরোধ করব ভগবান রামের নাম করে দেশের মধ্যে কোনও বিভাজন তৈরি করবেন না।’২১ ফেব্রুয়ারি রাম মন্দির নির্মাণের শিলান্যাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে রামদেব বলেন, ৯৯ শতাংশ সাধুরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রয়েছেন। বাকি এক শতাংশ সাধু বেদে বর্ণিত সহনশীলতার পথে চলতে বিশ্বাসী।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পরম ধর্ম সংসদের সভা থেকে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জোরালো দাবি তোলা হয়। আদালতের অপেক্ষায় না থেকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই বিতর্কিত জমিতে শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। বুধবার এমনই অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে ধর্ম সংসদের তরফে।পরম ধর্ম সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়, অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার সময় হয়ে গিয়েছে। আমরা আদালত এবং প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু চার জন মানুষ চারটি পাথর অযোধ্যায় নিয়ে যাবে। এর ফলে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনও হবে না। মন্দির নির্মাণ প্রক্রিয়ার কাজ করতে সময় লাগবে। তাই এখন যদি এই মন্দির নির্মাণ না করা হয় তবে কোনও দিনও তা সম্পূর্ণ হবে না। রাম লালা ইতিমধ্যে ওখানে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্র অযোধ্যার রামমন্দির সংলগ্ন অবিতর্কিত জমি মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছে। রাম জন্মভূমি ন্যাসের হাতে ৬৭ একর অবিতর্কিত জমি তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। ধর্মসংসদের বক্তব্য, শিখ গুরু গোবিন্দ সিং দেশের কোটি কোটি হিন্দুর প্রতিনিধিত্ব করে প্রাণ দিয়েছিলেন। সেভাবেই সন্তদের নেতৃত্ব দেবেন মহারাজ শ্রী জগত্গুরু স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। উল্লেখ করা যেতে পারে রামমন্দির ইস্যু এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন৷ বিষয়টি নিয়ে প্রবল চাপে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।