নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জানুয়ারী৷৷ তিন দিনের রাজ্য সফরে এলেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কর্মকর্র্তরা৷ চেয়ারম্যান এন কে সিংহের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার সকালের বিমানে আগরতলা এসে পৌঁছান৷ দুপুরে রাজ্য অতিথিশালায় শুরু হয় বৈঠক৷ শুরুতেই পঞ্চায়েত রাজ ইনস্টিটিউট এর সঙ্গে বৈঠক করেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সদস্যরা৷ এরপর বৈঠক হয় পুর ও নগর সংস্থাগুলির সঙ্গে৷ ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের সঙেগও বৈঠক করেন অর্থ কমিশনের প্রতিধিদেলর সদস্যরা৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং শিল্প বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধি দলটি৷ এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অর্থ কমিশনের কাছে ১০৭৭১৪৮৩ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হবে৷ মূলত এই বরাদ্দের দাবী হচ্ছে খরচের জন্য আগামী টাকা প্রদান৷ আগামীকাল মহাকরণে অর্থ কমিশনের সামনে তা আবারও তুলে ধরা হবে৷ মুখ্যসচিব পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তা তুলে ধরবেন৷

উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, প্রধান সচিবগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারীকরা৷ জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করের শেয়ার ৪২ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার দাবী জানাবেন৷ তাছাড়া এডিসির জন্য ৭৮৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দের যে ধারা চলে আসছে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার দাবী জানানো হবে৷
রাজ্য সফরকালে পঞ্চাযেত রাজ ইনস্টিটিউট, পুর ও নগর উন্নয়ন সংস্থা এবং ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের কর্মকর্র্ত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও শিল্প বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন কমিশনের প্রতিনিধি দলটি৷ রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিযে বৈঠকে আলোকপাত করা হয়৷ রাজ্যে পঞ্চায়েত এর কাজ কর্মের ভূমিকায় অর্থ কমিশন অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে৷ অর্থ কমিশনের প্রতিনিধি দলের মতে ১২টি নির্দিষ্ট বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচির মধ্যে ত্রিপুরা পঞ্চায়েত রাজ ইনস্টিটিউটগুলি মাত্র কয়েকটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে৷ অর্থ কমিশন গুরুত্বের সাথে মনে করে যে, অর্থ ও কর্মসূচি বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়টিকে আরও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা উচিত৷ অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে সাংবিধানিক শর্তগুলো পূরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশন৷ নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে অর্থ কমিশনের বৈঠক ছিল তথ্যসমৃদ্ধ৷ পঞ্চদশ কমিশনের মতে এই সংস্থাগুলিকে স্বনির্ভর এবং যথোপযুক্ত করে গড়ে তোলারক ক্ষেত্রে যথেষ্ট দীর্ঘসূত্রিতা পরিলক্ষিত হয়েছে৷ উল্লেখ্য ত্রিপুরায় বছরে প্রায় আট মাস বৃষ্টিপাত হয়৷ ফলে পরিকাঠামোগত প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়ন করা বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখে এসে দাঁড়ায়৷ বড় বড় শহরগুলির ক্ষেত্রে উপযুক্ত মাস্টার প্ল্যান না থাকাটাও বড় অপূর্ণতা বলে কমিশনের সদস্যরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷ কমিশনের মতে রাজ্য সরকারের উচিত এই মাস্টারপ্ল্যানগুলোকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করা৷ কাজের গতি আরও কিভাবে দ্রুত ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলেছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশন৷ সরকারের অর্থনীতি, আইনি ও প্রশাসনিক স্বার্থ রক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হল ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ৷