নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জানুয়ারী৷৷ রেগায় আরও দুই-তিন কোটি শ্রমদিবস বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছে রাজ্য সরকার৷ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৭৮ লক্ষ্যেরও বেশী শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ তাই, রাজ্যে আরও শ্রমদিবস কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত তথা উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷ তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ এডিসি এলাকায়স্থিত ব্লকে সবচেয়ী বেশী রেগার কাজ দেওয়া হয়েছে৷

শুক্রবার মহাকরণে উপমুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৫০২ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ বিধানসভা নির্বাচনের কারণে বেশ কয়েকদিন রেগায় শ্রমদিবস সৃষ্টি করা যায়নি৷ তবুও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রায় ২ কোটি শ্রমদিবস সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ১৪০ পরিবারকে রেগার কাজ দেওয়ার আবেদন ছিল৷ তার মধ্যে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৩ পরিবারকে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ এর মধ্যে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৯১ পরিবারকে রেগায় কাজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷
তাঁর দাবি, প্রায় ৭৮ শতাংশ কাজ এডিসি এলাকার জনগণকে দেওয়া হয়েছে৷ তার মধ্যে উপজাতি জনবসতি এলাকায় ৫২৫২ শতাংশ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এদিন তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার এবছর রেগায় মজুরী বাবদ ৩০৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে৷ এর মধ্যে ৩০৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে৷ তাঁর আরও দাবি, সবমিলিয়ে এবছর ১ লক্ষ ৪ হাজার ৮১২টি এফটিও দেওয়া হয়েছে, যার পরিমাণ ৩৬ কোটি ১২ লক্ষ টাকা৷ ওই এফটিওগুলির মধ্যে ৩ হাজার ৯২৬টি প্রায় ১০ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা এখনও বকেয়া রয়ে গিয়েছে সাতদিন ধরে৷ বিষয়টি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দৃষ্টিতে নেওয়া হয়েছে৷
উপ-মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুমোদিত লেবার বাজেটে ৮৯ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে৷ তাই কেন্দ্রের কাছে আরও ২ থেকে ৩ কোটি শ্রমদিবস অনুমোদনের আবেদন জানানো হয়েছে৷ এক তথ্য তুলে ধরে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ধলাই জেলায় সবচেয়ে বেশী রেগায় কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, সম্পূর্ণ এডিসি এলাকায় অবস্থিত মোট ২৩টি ব্লকে ৭৪ লক্ষ ২২ হাজার ৪৭৯ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ আংশিক এডিসি এলাকায় অবস্থিত ১৭টি ব্লকে ৬৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪৫৬ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এডিসি এলাকার বাইরে অবস্থিত ১৮টি ব্লকে ৩৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৬৭ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে৷ ফলে, রাজ্যে রেগায় কাজ নেই বিরোধীদের এই দাবিকে তিনি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন৷