নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৩০ ডিসেম্বর৷৷ আরসিসি রং ওয়েলের টাকা গায়েব৷ যে স্থানে কাজ হওয়ার কথা সেই স্থানে কাজ হয়নি৷ পুরো ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা কিভাবে গায়েব হলো তার তদন্ত শুরু করলাম আমরা৷ প্রসঙ্গত কদমতলা আর ডি ব্লকের অন্তর্গত কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত থেক ২২/১২/২০১৭ ইং তারিখে ডি ডাব্লুএস দপ্তরকে পানীয় জলের উৎস নির্মাণের জন্য ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৭ টাকা দেয় কদমতলা পঞ্চায়েত৷ যার চেক নম্বর ৪৪৯১৮৭৷ বাবুল নাথ, শ্যামসুনদর গোস্বামী ও পার্থ সারথি ভট্টাচার্য এর জায়গায় এই পানীয় জলের উৎসগুলি নির্মাণ হবে বলে পঞ্চায়েত রেজুলেশন করে দিয়েছে৷ ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৭ টাকার কাজ হয়েছ বলে ইউসিতে উল্লেখ আছে৷ পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী স্থান পরিদর্শনকরে কাজ হয়নি দেখে ভিডিওকে একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ তাতে উল্লেখ ছিল যে এই স্থানে কাজ হয়নি৷ এপ্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সচিব পল্লব চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন যেহেতু পঞ্চায়েতের বরাদ্দ অর্থ কাজের জন্য দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি সেটা তদন্তের বিষয়৷
আরসিসি রিং অয়েলের টাকা গায়েব হয়ে গেছে বলে কদমতলা পঞ্চায়েত এলাকায় যখন শোরগোল চলছে ঠিকতখনই বিষয়টি পরিষ্কার এর জন্য ডি ডব্লিউএস দপ্তরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ দাস এর কাছে গেলে তিনি তার অফিসিয়াল সাইট খুলে সাংবাদিকদের দেখান৷ ডি ডব্লিউএস দপ্তর এর অফিসিয়ালসাইটে এখনো পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি বলেদেখাচ্ছে৷ তাহলে ভুলটা কার? এ প্রসঙ্গে অনিমেষ দাস জানান এতে দপ্তরের ভুল রয়েছে ভুল রয়েছে ভুলবশত ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ১৫৭ টাকার ইউসিচলেগেছে৷ অ্যাকাউন্টেন্ট ভুল করেছে৷ এখান থেকে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৬৭ টাকা বাদ দেওয়ার কথা কিন্তু একাউন্টেন্ট পুরো টাকার ইউসিক করে দিয়েছে৷ তিনি পুনরায় সংশোধন করে আরেকটি নতুন ইউসি কদমতলা পঞ্চায়েতে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন৷ এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর বক্তব্যে ও তথ্য প্রমাণে দেখা গেল আরসিসি রিং অয়েলের টাকা গায়েব হয়নি ভুলবশত ইউসি দেওয়া হয়েছে৷ তবে দপ্তরের এই মারাত্মক ভুলে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা বলা আবশ্যক৷