নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর৷৷ একদিকে নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস, আর অন্যদিকে নির্বাচনী ফল ঘোষণার পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বাম নেতৃত্বরা৷ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত উপভোটের পর সদ্য সমাপ্ত পুর সংস্থা ও নগর ভোটকে কেন্দ্র করেও একই অবস্থা৷ অভিযোগ রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির৷
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শনিবার এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বামফ্রন্ট৷ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়েছে৷ রাজধানী আগরতলায় শুক্রবারের পর আরও এক দফায় বিক্ষোভ মিছিল করল শনিবার৷ এদিনও সিপিএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে৷ মিছিলটি মেলারমাঠ থেকে শরু হয় এবং পুরাতন মোটরস্ট্যান্ড হয়ে পুনরায় মেলারমাঠস্থিত দলীয় কার্য্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়৷ এর আগে প্যারাডাইস চৌমুহনীতে এক পথসভাও হয়৷
পথসভায় সিপিএম জেলা সম্পাদক পবিত্র কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এক জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে রাজ্যে৷ মানুষকে তাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ গণতন্ত্র পর্যন্ত নেই এরাজ্যে৷ তিনি বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত উপভোটের সময় আমরা যা দেখেছি, এখনও ঠিক তাই৷ পুর সংস্থার উপভোটে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন নিলেও তা হুমকির মুখে জমা দিতে পারেনি৷ একবার মর্জিমাফিক ভোট গ্রহণ এবং ভোটের পর আক্রমণও করা হচ্ছে আমাদের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে৷ ভোটের দিন তো প্রবীণ নেতা ভানুলাল সাহাকে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করেছে বিজেপি আশ্রিত গোন্ডাবাহিনী৷ সেই সাথে গতকালও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস উদয়পুর থেকে দলের একটি কর্মসূচি শেষ করার পাশে একই স্থানেই আক্রমণের শিকার হয়েছিল৷ আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েই আজ বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হালাম৷ তিনি জানান, গণতন্ত্র পুণরুদ্বারে জারি থাকবে এই লড়াই আন্দোলন৷ অন্যান্যদের মধ্যে মহকুমা সম্পাদক শুভাশিষ গাঙ্গুলিও বক্তব্য রাখেন৷
এদিকে, সোনামুড়া এবং কৈলাসহরেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করেছে সিপিএম৷ প্রতিটি জায়গাতেই এই হামলা ও আক্রমণের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানানো হয়েছে৷
2018-12-30