বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে ঃ উপমুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর৷৷ ত্রিপুরার এক তৃতীয়াংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল৷ চাষ যোগ্য জমির পরিমাণ সীমিত৷ তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে৷ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত কদ্দেরত তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করতে হবে৷ আজ দক্ষিণ চড়িলামে অআয়াজিত কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিনিময় সভার উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন৷
উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক চাষে দক্ষ হতে গেলে বিজ্ঞানভিত্তিক চাষের বিভিন্ন কলাকৌশল নিখুতভাবে জানতে হবে৷ এজন্য কৃষক, কৃষিকর্মী ও আধিকারিকদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি বইে রাজ্য কৃষিতে পিছিয়ে পড়েছে৷ বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, জনজাতিদের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে৷ কৃষি ও উদ্যান ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে৷ কৃষি ও উদ্যান ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানষকে স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়নে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন৷ অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী আগত কৃষকদের মধ্যে ৫টি পাওয়ারটিলার, ৭টি স্পে মেশিন, ১০০টি কোদাল, ৫টি পাম্প মেশিন এবং ১০০ জন কৃষকের হাতে নানা সব্জীর চারা তুলে দেন৷ অনু,টানে অতিথি হিসাবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চড়িলাম বিএসি’র চেয়ারম্যানে রাজীব দেববর্মা, কৃষি দপ্তরের দায়িত্বপাব্রাপ্ত অধিকর্তা নবকিন্ত চাকমা, কৃষি বিজ্ঞানী রাজীব ঘোষ, বাহারুল ইসলাম৷ একদিবসীয় মতবিনিময়সভায় উপস্থিত কৃষকেরা কযষি ক্ষেত্রে তাদের গাছের পরিচর্যা, ঔষধের ব্যবহার, রোগ প্রতিরোধ সহ নানা অজানা বিষয়গুলি সম্পর্কে কৃষি বিজ্ঞানী ও বিশেষঞ্চশজ্ঞদের নিকট থেকে অবহিত হন৷ সভায় চড়িলাম ও বিশালগড় ব্লক এলাকা থেকে ১০০ জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন৷ এই মতবিনিময়সভার উদ্যোক্তা ভূমি সংরক্ষণ ও উদ্যান দপ্তরের বিশালগড় মহকুমা কার্যালয়৷