নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যে নয়া পাঠ্যক্রম চালুর জন্য মঞ্জুরি দিল মন্ত্রিসভা৷ পাশাপাশি, শিক্ষাবর্ষ বদলেও মঞ্জুরি দিয়েছে

মন্ত্রিসভা৷ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
এদিন তিনি জানান, বিজেপি-আইপিএফটি সরকার গঠন হওয়ার পর রাজ্যে শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সেই মোতাবেক, রাজ্যে এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালুর পরিক্রমা নেওয়া হয়েছিল৷ আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারী, সরকার অনুদানপ্রাপ্ত সুকলগুলিতে এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালুর বিষয়ে মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, শিক্ষাকে জাতীয়মানে পৌছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এনসিইআরটি’র সিলেবাস খুবই প্রয়োজনীয়৷ সেই লক্ষ্যে পৌছানোর জন্যই রাজ্য মন্ত্রিসভায় বৈঠকে আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
সাথে তিনি যোগ করেন, রাজ্যে শিক্ষাবর্ষ বদলেও রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষে এপ্রিল থেকে বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন শুরু হবে৷ তাঁর কথায়, এতদিন রাজ্যে জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর শিক্ষাবর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো৷ নতুন নিয়মে এপ্রিল থেকে মার্চ শিক্ষাবর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হবে৷ আজ রাজ্য মন্ত্রিসভা এর অনুমোদন দিয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, এনসিইআরটি সিলেবাস চালু করার ক্ষেত্রে শিক্ষাবর্ষ বদলও প্রয়োজন ছিল৷ কারণ, দেশে যেসমস্ত রাজ্যে এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালু রয়েছে সেখানে এপ্রিল থেকে মার্চ শিক্ষাবর্ষ পালন করা হয়৷
এদিকে, বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের সময় পরিবর্তনের বিষয়টি পুণরায় পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরকে বলা হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ সকাল ৮টা থেকে সমস্ত সুকলে পঠন-পাঠন শুরু করার ক্ষেত্রে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষার প্রয়োজন বলে মন্ত্রিসভা মনে করেছে৷ তাই, এই বিষয়ে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষার পর মন্ত্রিসভা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে৷
শিক্ষামন্ত্রী এদিন আরো জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী এবং একাদশ শ্রেণীতে এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালু হবে৷ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে এনসিইআরটি’র সিলেবাস চালু হবে৷
এদিকে, বিদ্যালয়গুলিতে ইতিমধ্যে নয়া পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই বিলি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত বীরচন্দ্রমনু, শান্তিরবাজার, রূপাইছড়ি, বিলোনীয়া, রতনপুর, কুমারঘাট, ধর্মনগর, মোহনপুর, হেজামারা, জিরানীয়া বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পাঠ্যবই পৌছানো হয়েছে৷ বাকি জায়গায় ধাপে ধাপে পাঠানো হবে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ইতিমধ্যে গুয়াহাটি থেকে ২ লক্ষ ৩১ হাজার পাঠ্যবই এসে পৌছেছে৷ আরো ৬৪ হাজার পাঠ্যবই রাস্তায় রয়েছে৷ তাঁর দাবি, মোট ৪০ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৬টি পাঠ্যবই বিভিন্ন সুকলে বিলি করা হবে৷ এদিকে, নবম শ্রেণীর ইকোনমিক্স ও ভূগোল বিষয়ের ১ লক্ষ ৩০ হাজার পাঠ্যবই এবং বাংলা বিষয়ের ২০ হাজার পাঠ্যবই সরবরাহের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে৷