কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর (হি. স.): কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকারের আচরণে মানুষের যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল তারই পরিচায়ক বলে মন্তব্য করল সিপিএম পলিটব্যুরো। এ দিন এক বিবৃতিতে পলিটব্যুরোর তরফে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, বিজেপি সরকার মানুষের ওপর একটা অবর্ননীয় বোঝা তৈরি করেছে।
পলিটব্যুরোর মতে, মানুষের কথা না ভেবে বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে। মুসলিম ও দলিতদের ওপর আক্রমণ এবং হিংসার বাতাবরণের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরির চেষ্টা হয়েছে।
মোদীজী নিজেকে বড় উঁচু স্তরের নেতা ভেবেছিলেন| সে রকম আচরণ করছিলেন। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ রকম মন্তব্য করেছেন আরএসপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী। ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে তিনি এ দিন বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর মত নেত্রীকেও মানুষ ক্ষমা করেনি। গড় ভারতীয় কখনও ঔদ্ধত্যকে মেনে নেয় না। এখনও যদি উনি সংযত না হন, ভবিষ্যতে আরও দুঃখ অপেক্ষা করছে ওনার জন্য।
ক্ষিতিবাবু বলেন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষ যেভাবে বিরক্ত হয়ে পড়েছিল, তার প্রতিফলন হল ভোটের এই ফলাফলে। ২০১৪ সালের ভোটে জিতে মোদী অনেক কিছু করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু একের পর এক যুক্তিবাদী মানুষদের হেনস্থা, নোটবন্দীর জেরে আমজনতার নাভিশ্বাস— এ সবে প্রবল নেতিবাচক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এই পাঁচ রাজ্যের প্রভাব আগামী লোকসভা ভোটে অবশ্যই পড়বে।
তিন দশক বিজেপি-র সঙ্গে ছিলেন অশোক সরকার। শেষে ছিলেন বিজেপি-র ন্যাশনাল কাউন্সিল সদস্য। এখন শিবসেনার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ‘হিন্দুস্থান সমাচার’-কে তিনি বলেন, “অহঙ্কার ও একনায়কতন্ত্রের মনোভাবের ফল এটি। নিশ্চিতভাবে এর প্রভাব পড়বে আগামী লোকসভা ভোটের ওপর। এই ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে মোদী জমানার পতনের শুরু হল।“ এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা অন্তর্কলহ ও চুরি-দালালিতে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেন অশোক সরকার।