বাণিজ্যে লক্ষ্মীর কৃপায় পূর্বোত্তরের চাষীরা

৷৷ সন্দীপ বিশ্বাস৷৷বেঙ্গালুরু, ৭ ডিসেম্বর৷৷ পূর্বোত্তরের মাটি যথেষ্ট ঊর্বর বলেই হয়ত মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত ফল এই অঞ্চলে প্রচুর ফলনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ রামবুতান এই ফল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মালয়েশিয়া সহ কয়েকটি রাষ্ট্রে উৎপাদিত হচ্ছে৷ ভারতের মধ্যে পূর্বোত্তরে এই ফলের ফলনে চাষীরা নতুন বাণিজ্যের স্বাদ পেতে পারেন৷ তাতে,আর্থিক প্রগতিরও সম্ভাবনা প্রবল৷ এমনটাই মনে করেন ব্যাঙ্গালুরুস্থিত আইসিএআর’র ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচার এন্ড রিসার্চ’র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ড রাজু এম কুরিয়েন৷ তাঁর কথায়, এই ফল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে নতুন দীশা দেখাবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন পূর্বোত্তরকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করে দ্দরতুলতে৷ এই ফল চাষ সেই লক্ষ্যকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবে, তিনি যোগ করেন৷ বাণিজ্যে বসত লক্ষ্মী৷ ফলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সফলতা নিশ্চিতভাবে যে কোন রাজ্যকে এগিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা নেয়৷ গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্বোত্তরের মাটি রামবুতান চাষাবাদের জন্য ভিষন উর্বর৷ ড রাজুর কথায়, মালয়েশিয়া থেকে বীজ সংগ্রহ করে এই ফল নিয়ে গবেষণা হয়েছে৷ তাতে প্রমাণিত হয়েছে, পূর্বোত্তরের রাজ্যগুলির মাটিতে খুব ভাল ফলন হচ্ছে৷ তিনি জানান, এই ফল দেখতে অনেকটা লিচুর মত এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি৷
তাঁর পরামর্শ, ত্রিপুরাতে এই ফল চাষের উদ্যোগ নেওয়া উচিত৷ চাষের জন্য সবরকম সহায়তা করা হবে৷ তাঁর বক্তব্য, আইসিএআর’র ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচার এন্ড রিসার্চ বীজ সরবরাহ থেকে শুরু করে চাষাবাদের জন্য প্রশিক্ষণেও সহায়তা করবে৷ তাতে, চাষীরা ওই ফল উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরা সরকারের উচিত এই ফল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক৷
এদিকে টমেটো উৎপাদনে পূর্বোত্তরের চার রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম ও মণিপুর দারুণ সফলতা অর্জন করেছে৷ ব্যাঙ্গালুরুস্থিত আইসিএআর’র ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হর্টিকালচার এন্ড রিসার্চ’র অধিকর্তা ড প্রকাশ প্যাটেলের কথায়, ওই চার রাজ্যে প্রতি বছর ২০০ থেকে ৩০০ কেজি বীজ সরবরাহ করা হয়৷ অর্ক রক্ষক টমেটোর বীজ প্রচুর ফলনে সহায়ক৷ তিনি জানান, প্রতি কেজি বীজ প্রায় ৫০ একর জমিতে লাগানো যায়৷ প্রতি একরে গড়ে ৪০ টন টমেটো উৎপাদিত হয়৷ তাঁর দাবী, মিজোরামের চাম্পাই জেলার তুইপুই অঞ্চলের বাসিন্দা ভানলালমুয়ানা টমেটো বিক্রি করে প্রতি হেক্টরে ১১ লক্ষ টাকা আয় করেছেন৷ ত্রিপুরাতেও জনৈক চাষী ৮ একর জমিতে টমেটোর ফলন করে প্রচুর আয় করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *