নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ ডিসেম্বর৷৷ কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বিগত চার বছরে উত্তর -পূর্বাঞ্চলে জন্য ২৩ লক্ষেরও বেশি গৃহ মঞ্জুর করা হয়েছে৷ এরমধ্যে ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঘর বরাদ্দ করা হয়৷ আজ আগরতলার প্রজ্ঞা ভ বনে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) হরদীপ সিং পুরী এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান৷ আগরতলায় অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলিতে প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাগশীপ প্রকল্পের দু’দিনব্যাপী পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উত্তর-পর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ৯পিএমএওয়াই -আরবান) স্বচ্ছ ভ ারত মিশন, অমরুত, স্মার্ট সিটি মিশন এবং দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশনের উন্নয়নমূলক কাজের বি স্তারিত তথ্য তুলে ধরেন৷
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মেগালয়, অরুণাচল প্রদেশের নগর উন্নয়ন
মন্ত্রীদ্বয়, ভারত সরকারের নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব এবং মন্ত্রকের অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকগণ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, বিগত চার বছরে কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য ৩৫৭০ কোটি টাকা মঞ্জুর করে এবং তার মধ্যে ১৫২০ কোটি টাকা দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে৷ উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীকে ১লক্ষ থেকে ২৬৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় গৃহ নির্মাণের জন্য৷
সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অটল মিশন ফর রিজুভিনেশন ফর ট্রান্সফরমেসন বা অমরুত প্রকল্পে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জলের ট্যাপ বসানো, নিষ্কাশনী ব্যবস্থা ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নে আর্থিক সহ ায়তা দিয়ে থাকে৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ক্ষেত্রে এই স হায়তা ৯০ শতাংশ৷ এই প্রকল্পে ত্রিপুরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৩৪,৫০০টি স্ট্রীট লাইটকে এলরইডি ব াল্বে পরিবর্তন করেছে৷ এই প্রকল্পে অনলাইন বিল্ডিং প্ল্যান এপ্রুভ্যাল সিস্টেম চালু করা হয়েছে ৪৩৬টি অমরুত শহরে৷ আজ ত্রিপুরাও এই সিস্টেম চালু করেছে স্মার্ট সিটি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ১০২৪ কোটি টাকা প্রদান করেছে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলির জন্য৷ এই প্রকল্প রূপায়ণে উত্তর -পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সিকিমের নামাচি শহরটি সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে৷ আজ স্মাটক সিটি প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ইম্ফল, ইটানগর, পাসিঘাট, কোহিমা, নামচি, গ্যাংটক ও শিলং -এ ক্লাউড ভিত্তিক আইসিসিসি ব্যবস্থা চালু করার জন্য বি ইএল (বেল) এর সাথে সংশ্লিষ্ট র াজ্যগুলির মধ্যে এক মৌ স্বাক্ষর হ য়৷ আগরতলা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দশটি শহরে স্মার্ট সিটি প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে৷
স্বচ্ছভারত প্রকল্প সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী পুরী জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে মণিপুর, মিজোরাম, সিকিম ও নাগাল্যান্ড ইন্মুক্ত স্থানে শৌচ মুক্ত রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হয়েছে৷ আসাম, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশ ডিসেম্বর, ২০১৮ এবং মেঘাল জানুয়ারি ২০১৯-র মধ্যে এই সাফল্য লাভ করবে ৷ তাছাড়া বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ ১০০ শতাংশ সাফল্য লাভ করেছে৷ এখন পর্যন্ত ডিএওয়াই-এনইউএল এম প্রকল্পে মোট ১৩,৩৩২ টি স্ব সহায়ক দল গঠিত হয়েছে এবং ৪৮,৮২৭ জনকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্পে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণে মিজোরাম উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে৷ ত্রিপুরাও ২৫০টি গৃহ নির্মাণ করেছে এরকম লোকদের জন্য৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, রিয়াল ইস্টেট রেগুলেটরি অর্থরিটিস বা রেরা গঠনের জন্য ত্রিপরা ও আসাম ইতিমধ্যে নীতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ অন্তবর্তী রেরা গঠিত হয়েছে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও সিকিমে৷ এতে আবাসন ক্ষেত্রে ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ এখন পর্যন্ত বি গত চার বছরে এসব ফ্ল্যাগশীপ প্রকল্পগুলিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কেন্দ্রীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে মোট ৩২০০ কোটি টাকা৷ তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানান, আখাউড়াতে নোংরা জল পরিশোধনের জন্য যে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি মঞ্জুর হয়েছে তার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে৷ তিনি এসব রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকারকে ৯০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে অনুরোধ জানান৷
2018-12-02

