অযোধ্যা, ২৫ নভেম্বর (হি.স.) : এক দিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হুঙ্কার, আর অন্য প্রান্তে শিবসেনা সমর্থকদের জয়ধ্বনি। রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে দুই শিবিরের সমর্থকদের উত্তেজনায় ফুটছে গোটা অযোধ্যা। তার আগে দু’দলের দু’টি জমায়েতকে কেন্দ্র করে দুর্গের চেহারা নিয়েছে অযোধ্যা। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে অযোধ্যায়। সতর্ক পুলিশ ও প্রশাসন। একদিকে শিবসেনা ও অন্যদিকে বিশ্বহিন্দু পরিষদ দুই সংগঠনই অযোধ্যায় সভা করার কথা ঘোষণা করেছে। এর জেরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ প্রশাসন। দ্রুত রামমন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রকে রীতিমতো চাপ দিতে রবিবার ২৫ নভেম্বর অযোধ্যায় আলাদা আলাদা সভা করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং শিবসেনা| পুলিশ, ব়্যাফ, এটিএস ও পিএসি বাহিনী ও ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি চলছে অযোধ্যা শহরে| পরপর দু’দিনের কর্মসূচি নিয়ে আতঙ্কে কাঁপছে গোটা অযোধ্যা। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা জুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। মন্দির রাজনীতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক যোগী আদিত্যনাথও এ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায়।
শনিবার ‘রামজন্মভূমি’তে এসে পৌঁছেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও আদিত্য ঠাকরে। ট্রেনে করে অযোধ্যা এসেছেন কাতারে কাতারে শিবসেনা সমর্থক৷ সব দেখে মনে হচ্ছে, রামমন্দির নির্মাণ এখন দেশের প্রধানতম ইস্যু। পিছিয়ে নেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। রবিবার সেখানেই লাখ লাখ সাধুসন্তদের নিয়ে ‘ধর্ম সংসদ’-এর আয়োজন করেছে ভিএইচপি। তাদের দাবি, ’৯২-এর পর এত বড় মাপের ধর্ম সংসদ আর হয়নি অযোধ্যায়। ইতিমধ্যেই ভিএইপি-র শীর্ষ মহল থেকে জানানো হয়েছে, রবিবারের আয়োজন যুদ্ধের আগে শেষ প্রস্তুতি। এর পরের লক্ষ্যই হবে বিতর্কিত ওই জমিতে রামমন্দির নির্মাণ।
তবে বিজেপির মাথা ব্যথা অবশ্য বেশি শিবসেনাকে নিয়েই। রামের জন্মভূমিতে আজ প্রার্থনা করবেন উদ্ধব। আরতি করবেন সরযূ নদীর তীরে। কথা বলবেন স্থানীয় বাসিন্দা, সাধুসন্তদের সঙ্গে। এমনকি পুণের শিবনেরি দুর্গ থেকে মাটি নিয়ে অযোধ্যায় এসেছেন উদ্ধব। রামের মূর্তি নির্মাণের জন্য সেই মাটি তিনি তুলে দেবেন সাধুসন্তদের হাতে। দুদিনের দুই কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ যোগী আদিত্যনাথের কাছে। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে ৪২ কোম্পানি প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি (পিএসি), ৫ কোম্পানি র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ), ৭০০ কনস্টেবল ও ১৬০ জন পুলিশ ইনস্পেক্টর। সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়্যাড (এটিএস)-এর কম্যান্ডো বাহিনী। নজরদারির জন্য রাখা হয়েছে প্রচুর ড্রোন ক্যামেরাও।