নয়াদিল্লি, ২৪ নভেম্বর (হি.স.) : শনিবার বিকেলে ইউক্রেনের বক্সারের বিরুদ্ধে মেরি কমের সোনার যুদ্ধ। ২০১০ সালে তিনি শেষবার বিশ্বমিটে সোনা
জিতেছিলেন। ওই বছর লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্বের এক নম্বর অপেশাদার বক্সার। এবার সোনা জিতলে ছ’ নম্বর সোনার মালকিন হবেন তিনি। ইউক্রেনের বক্সার হান্না ওখোতা মানছেন, ‘ঘরের কোর্টে মেরি কমকে হারানো সোজা কথা নয়। লড়াই কিন্তু অত্যন্ত কঠিন।’ তিন মাস আগে পোল্যান্ডের টুর্নামেন্টে মেরির কাছে হেরেছিলেন ইউক্রেনের বক্সার।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/12/mary-kom-3-300x250.jpg)
ফাইনালে মেরির হাত শক্ত করলেন সনিয়া চাহল। শুক্রবার বিশ্ব বক্সিংয়ে উত্তর কোরিয়ার বক্সার জো হন হুয়াকে হারিয়ে তিনি ফাইনালে। হরিয়ানার তনয়া সনিয়া ২০১৬ সাল থেকে সিনিয়রে খেলছেন। দু’বছরের মধ্যেই বিশ্বমিটের ফাইনালে। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষকে ৫-০ হারিয়ে। জাকার্তা এশিয়াডে রুপোজয়ী জো হনকে হারালেন। সনিয়ার ফাইনালে পৌঁছানো ভারতীয় বক্সিংয়ে অন্যতম ঘটনা।
ফাইনাল বাউটের আগে মেরিকে ঘুরিয়ে হুমকিও দিয়ে রাখলেন ইউক্রেনের বক্সার। তাঁর কথায়, ‘সে দিনের কথা ভুলে যাওয়াই ভাল। দিনটা সেদিন আমার ছিল না। এখানে ফাইনালে পৌঁছানোর পর থেকেই মেরির বিরুদ্ধে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। ফাইনালের দিনটা আমারও হতে পারে। এটা হবে অন্য লড়াই।’
২০০২ সালে তিনি প্রথম বিশ্ব মিটে সোনা জেতেন। তারপরে ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮ ও ২০১০। তার আগে ২০০১ সালে রুপো পেয়েছিলেন মেরি কম। কুড়ি বছরে বেশি তাঁর বক্সিং জীবন। ৩৫ বছর বয়সে বিশ্বমিটে ফাইনালে পৌঁছনো কম কথা নয়। সেই প্রসঙ্গে শুক্রবার মেরির প্রতিপক্ষ বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে মেরি কিংবদন্তি। এই বয়সে দারুণ ফিট। অসাধারণ ফুট ওয়ার্ক। ঘরের কোর্টে তাই ওকে হারানো সহজ নয়।’