আবুধাবি, ১০ নভেম্বর (হি.স.) : আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসনের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাটিতে শুয়ে পড়লেন পাক ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক। আর এই ঘটনায় মুহূর্তের জন্য যেন দর্শকদের মনে পড়ে যাচ্ছিল, বছর চারেক আগের এমন এক ঘটনা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মাথায় বল লাগার পর এভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল হিউজেস। নিজের পায়ে আর দাঁড়ানো হয়নি হিউজের। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে সিন অ্যাবটের একটা বাউন্সার এসে লাগে হিউজের মাথার ঠিক পিছন দিকে। আর এবার সেই বিভত্স স্মৃতি উস্কে দিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একটা ঘটনা। একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কিউয়ি বোলার লকি ফার্গুসনের বাউন্সার সামলাতে ব্যর্থ হন পাক ব্যাটসম্যান ইমাম উল হক। বল সজোরে এসে লাগে তাঁর হেমমেটের গ্রিলে। মাটিতে শুয়ে পড়েন ইমাম। অবচেতন না হলেও বেশ কিছুক্ষণ চোখ বুজে থাকেন। এর পরই তাঁকে মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু অস্বস্তি বাড়তে থাকায় সরাসরি পাঠানো হয় হাসপাতালে।
সিরিজ এই মুহূর্তে ১-১। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ এখন ফাইনাল। এদিন অবশ্য পাকিস্তান জয় কিছুটা হলেও ম্লান হয়ে গিয়েছিল ইমামের চোটের জন্য। দলের প্রত্যেকে এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে জয়ের কথা প্রায় কারও মাথাতেই ছিল না। লকি ফার্গুসনের বাউন্সার হেলমেট-এর গ্রিলে সজোরে লাগার পর প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ ধুঁকতে থাকেন ইমাম। পরে অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানা নো হয়েছে, সিটি স্ক্যানে উদ্বেগজনক কিছু ধরা পড়েনি। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ইমামকে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত তিনি দলের ফিজিও-র নজরে থাকবেন। প্রসঙ্গত, এদিন ২১০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। মাথায় বল লাগার সময় ইমাম ব্যাট করছিলেন ১৬ রানে। পাকিস্তানের শাহিন শা আফ্রিদি কেরিয়ারের সেরা বোলিং (৪-৩৮) করেন। ওপেনার ফখর জামান হাফ সেঞ্চুরি করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে চার বছরে পাকিস্তান ১২টা ম্যাচ হেরেছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ফলে এই জয় যেন তাঁদের শাপমুক্তি ঘটাল।