গুয়াহাটি, ৯ নভেম্বর, (হি.স.) : আসন্ন পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে একক শক্তিতে খেলবে বিজেপি। তবে প্ৰত্যেক দলের জন্য মিত্রতার দরজা খোলা রয়েছে। যারা বিজেপির শরিক হতে চান আসতে পারেন। জানিয়েছেন বিজেপি-র অন্যতম মুখপাত্ৰ জয়ন্ত দাস।
দিশপুরে পূর্ত দফতরের প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰের মিলনায়তনে প্রদেশ বিজেপি-র এক গুরুত্বপূৰ্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দলের এক সূত্রের খবরে প্রকাশ। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস, মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা-সহ কয়েকজন দলের সাংসদ এবং মন্ত্রী-বিধায়ক ছাড়াও প্রদেশ স্তরের অনেক নেতা ছিলেন বৈঠকে। পৃথক ভাবে বৈঠক হয়েছে জেলাস্তরের নেতৃবর্গের সঙ্গেও।
বৈঠক শেষে বাইরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জয়ন্ত দাস। তিনি আরও জানান, আজকের বৈঠকে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন সম্পর্কে দলীয় রণনীতি তৈরি করা হয়েছে। জানান, নিৰ্বাচনী রণকৌশল এবং অন্য দলের সঙ্গে মিত্ৰতা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এদিকে বিজেপি-র প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শইকিয়া জানান, কেন্দ্রীয় ভাবে অগপ, বিপিএফ-এর সঙ্গে জোট থাকলেও জেলাভেদে শরিকি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সব জেলা সভাপতিকে অধিকার দেওয়া হয়েছে। জেলাভিত্তিক জোটবন্ধন হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শইকিয়া।
এদিকে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে কারোর সঙ্গে জোট না বেঁধে একক শক্তিতে বিজেপি ৮০ শতাংশ আসনে বিজয়ী হবে বলে দাবি করেছেন তেজপুরের বিজেপি সাংসদ রামপ্ৰসাদ শৰ্মা। তিনি বলেন, কেবল রাজ্যেই নয়, গোটা দেশে দলের স্থিতি অত্যন্ত সবল।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বৈঠকে একাংশ বিজেপি নেতা কোনও দলের সঙ্গে মিত্রতা না করে একক শক্তিতে নির্বাচনে অবতীর্ণ হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের আঞ্চলিক দল অগপ-র কোনও কোনও নেতা বিজেপি-র সঙ্গে জোটে না গিয়ে একা নির্বাচন খেলতে চাইছেন। গতকাল দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে অগপ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কেশব মহন্ত বলেছিলেন, জেলা অথবা নির্বাচন কেন্দ্র ভিত্তিক মিত্ৰতা হবে। দলের কেন্দ্রীয় সমিতির সিদ্ধন্তের বিপরীতে গিয়ে আজ বরপেটা জেলা অগপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় কিংবা কোনও আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোটে যাবে না বরপেটা জেলা অগপ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কুমার দীপক দাসের উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।