![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/HANDCUFF-300x201.jpg)
সমন পেয়ে আজ শুক্রবার সকাল প্রায় দশটা নাগাদ থানায় এসে হাজিরা দেন মৃণাল। থানায় বসিয়ে তাকে প্রায় ঘণ্টা-চারেক জেরা করেছেন ষুগ্ম পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা-সহ অন্য শীর্ষ অফিসাররা। এর পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গ্রেফতারের তথ্য এ খবর লেখা পর্যন্ত সরকারিভাবে জানানো হয়নি। জানা গেছে, গতকাল তিনসুকিয়া জেলার ধলায় সংঘটিত গণহত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই ঘটনার পিছনে আলোচনাপন্থী আলফার যোগসাজস থাকতে পারে বলে মনে করেছে পুলিশ প্রশাসন।
কেননা, ইতিমধ্যে ধলায় সংঘটিত ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই তারা জড়িত নয় বলে বিজ্ঞপ্তিযোগে জানিয়েছে উগ্রপন্থী সংগঠন আলফা-স্বাধীন। আজ ২ নভেম্বর ইংরেজিতে লেখা আলফা-স্বাধীনের প্রচারসচিব রমেল অসম স্বাক্ষরিত প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১ নভেম্বর তিনসুকিয়া জেলার শদিয়া সৈখোয়ায় সংঘটিত গোলাগুলির সঙ্গে তারা কোনও অবস্থাতেই জড়িত নন।
উল্লেখ্য, গতকালের ঘটনার পর প্রথমদিকে আলফা-স্বাধীনকে দায়ী করা হয়েছিল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ভাষিক সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে লাগাতার বিষোদ্গার করে উসকানিমূলক বক্তব্য পেশ করছিলেন আলোচনাপন্থী দুই আলফা নেতা মৃণাল হাজরিকা এবং জীতেন দত্ত। তাঁরা বলছিলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থন যে সব বাঙালি করবেন তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে মারবেন। তাছাড়া ১৭ নভেম্বর বাঙালি সংগঠনের প্রস্তাবিত সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের ওপর শারীরিক নিগ্রহ চালাতেও দ্বিধা করবে না তাদের গঠিত খিলঞ্জিয়া মঞ্চ।