নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর৷৷ জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাধারঘাট কেশব সংঘ এলাকায়৷ রবিবার দুপুরে বাধারঘাট কেশব সংঘের একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতির ফাঁসিতে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ মৃত দম্পতি শঙ্কর চক্রবর্তী এবং অনামিকা চক্রবর্তীর৷ মৃতদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ তাঁদের মধ্যে কোনও মানসিক অশান্তি ছিল কিনা সে বিষয়ে এখনই স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি পুলিশ৷ তবে, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দম্পতির মধ্যে কোনও পারিবারিক অশান্তি ছিল না৷ তাঁদের মধ্যে ঝগড়াও হত না৷ তবু কেন তারা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন সে ব্যাপারে পরিবারের লোকজন বুঝে উঠতে পারছেন না৷ তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা না অন্যকিছু সে রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, তারা দম্পতির মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন৷ ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তবে সব কিছু স্পষ্ট বোঝা যাবে৷
এদিকে, এদিক মৃতদেহ যে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে সেই ঘরের আসবাবপত্র আগোছালো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছিল৷ আসবাব পত্রের পাশাপাশি বিছানাপত্রও উল্টোপাল্টা হয়ে রয়েছিল৷ তাতে নানা প্রশ্ণ উঠছে৷ এটি নিছট আত্মহত্যার ঘটনা বলে মানতে নারাজ এলাকারই অনেকে৷ তাদের অনুমান, হয়তো বহিরাগত কেউ ঘরে এসেছিল৷ এক বা একাধিক ব্যক্তি ঐ ঘরে প্রবেশ করে এবং তাদেরকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে৷ যদিও পুরো বিষয়টিই অনুমানের উপর৷ সত্যি ঘটনা কি তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই৷ তবে, এই মুহুর্তে এডি নগর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ এদিন, জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
অন্যদিকে, রাজধানী আগরতলা শহরের প্রগতী রোডে অঞ্জলী আচার্য নামে ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার চবিবশ ঘন্টা পরও পুলিশ মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছে না৷ চবিবশ ঘন্টায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷ বৃদ্ধ অঞ্জলী আচার্যর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের জন্য এলাকাবাসীর তরফ থেকে জোর দাবী করা হচ্ছে৷ কারণ, ইতিপূর্বে আগরতলা শহরে বেশ কয়েকটি অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে৷ সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সম্পত্তির লোভে নিজের সন্তানই মা কিংবা বাবাকে খুন করে ফেলেন৷ অঞ্জলী আচর্য’র মৃত্যুর ক্ষেত্রে এমন কোন বিষয় রয়েছে কিনা তা পরিস্কার করে জনসমক্ষে আনার দাবি করেছেন প্রগতী রোডের বাসিন্দারা৷