নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অক্টোবর৷৷ অবশেষে এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি অফার প্রাপকরা নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন৷ আগামী ৮ অক্টোবর তাদের নিয়োগপত্র বিলি করা শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ শিক্ষা দপ্তর সেই লক্ষ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে৷ এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি অফার প্রাপকদের মধ্যে জাল সার্টিফিকেট ধারী রয়েছেন এই অভিযোগের তদন্ত পক্রিয়ার নিয়োগ পত্র দিতে কিছুটা সময় নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর৷ সূত্রের খবর, কাউকেই আগরতলা পুর পরিষদ এলাকার সুকলগুলিতে পোস্টিং দেওয়া হবে না৷ শিক্ষক স্বল্পতা যে সমস্ত সুকলে রয়েছে সেখানেই তাদের পোস্টিং দেওয়া হবে৷ এদিকে, শিক্ষা দপ্তর সূত্রে আরো খবর, চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বরের আগে রাজ্যের সুকলগুলিতে কোনও শিক্ষককেই বদলি করা হবে না৷ বদলির আদেশ জারি করা হয়ে থাকলে তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে৷
দপ্তর সূত্রে খবর, ১৩২ জনের বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেটের অভিযোগ জমা পড়েছিল শিক্ষা দপ্তরে৷ এর ভিত্তিতে দপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল৷ তাতে ৪১ জনের সার্টিফিকেট বৈধ বলে কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে৷ বাকি ৬২ জনের এখনও রিপোর্ট জমা পরেনি৷ শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, ৯ জন অফার গ্রহণ করেননি৷ এছাড়া, ৪ জন অফার প্রত্যাহার করেছেন৷ তদন্তে ১৬ জনের জাল সার্টিফিকেট প্রমাণিত হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, আগরতলা পুর পরিষদ এলাকার কোনও সুকলে এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি শিক্ষকদের পোস্টিং দেওয়া হবে না৷ অফার প্রাপক এসটিজিটি ৮৮৫ জন এবং এসটিপিজিটি ১২৫ জনকে পোস্টিং দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে৷
ইতিমধ্যে, শিক্ষা দপ্তর সমস্ত জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের কাছ থেকে শিক্ষক স্বল্পতার তথ্য সংগ্রহ করেছে৷ জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের সুপারিশ মত ধলাই জেলায় ১৪০ জন এসটিজিটি এবং ২৪ জন এসটিপিজিটি, উত্তর জেলায় ১৫৫ জন এসটিজিটি এবং ২৪ জন এসটিপিজিটি, গোমতী জেলায় ১৫৫ জন এসটিজিটি এবং ২৪ জন এসটিপিজিটি, ঊনকোটি জেলায় ১৩৫ জন এসটিজিটি এবং ২৪ জন এসটিপিজিটি, খোয়াই জেলায় ৩৫ জন এসটিজিটি, দক্ষিণ জেলায় ১৫৫ জন এসটিজিটি এবং ২৪ এসটিপিজিটি, সিপাহীজলা জেলায় ৬০ জন এসটিজিটি এবং পশ্চিম জেলায় ৫০ জন এসটিজিটি ও ৫ জন এসটিপিজিটি অফার প্রাপকদের পোস্টিং দেওয়া হবে৷
এদিকে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও শিক্ষককে বদলি করা হবে না বলে শিক্ষা দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ইতিমধ্যে বদলির নির্দেশ জারি করা হলে তা স্থগিত রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য, সামনেই সুকলগুলিতে পরীক্ষা রয়েছে৷ তাই কোনও শিক্ষককে বদলি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷