![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/Encounter-300x300.jpg)
দক্ষিণপূর্ব দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার চিন্ময় বিসওয়াল জানিয়েছেন, রবিবার আনুমানিক রাত ৯টা নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে দুই বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হয়েছে এক ব্যক্তি। দুই বন্দুকবাজ গুলি চালিয়েই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এর জেরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। রাস্তায় নেমে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটও ছোড়ে তারা। এমনকি বাইকও তারা জ্বালিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য বাড়তি বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মৃতের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কিছুক্ষণ আইসিইউ-তে রাখার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ওই দুই দুষ্কৃতী আদতে মাদক পাচারকারী। রুপেশ দীর্ঘদিন ধরেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বলেই তাকে খুন হতে হল তাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গোটা এলাকাজুড়ে মাদক পাচারকারীদের রমরমা চলছে। রুপেশ এবং কয়েক জন মিলে এর প্রতিবাদ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিল। এমনকি একাধিক বার পুলিশের কাছে এই বিষয়ে চিঠিও দেয় সে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। পুলিশের নাকের ডগায় দিয়েই অবাদে চলত মাদাক পাচারের ব্যবসা। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
সোমবার সকালেও তৈমুর নগরের স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই খুন বলে দাবি তাদের।