রাওয়ালপিন্ডি, ৭ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : অন্য দেশের যুদ্ধ আর লড়বে না পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা ও শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে এমনই জানালেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ওইদিন রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর প্রধানকার্যালে প্রতিরক্ষা এবং শহিদ দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান আর অন্য দেশের যুদ্ধ লড়বে না। প্রথম থেকেই আমি যুদ্ধের বিরুদ্ধে। নতুন বিদেশনীতি দেশের মানুষ কথা ভেবেই তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে অন্য দেশের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমরা এরকম যুদ্ধে নামবো না। জঙ্গিদমনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যা লড়েছে তা আর কোনও দেশ লড়েনি। গুপ্তচর সংস্থার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থাগুলি সব বিপদ থেকে দেশকে নিরাপদে রেখেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বলতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, সমস্ত ক্ষেত্রে মেধা এবং স্বচ্ছতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে অসামরিক সরকার এবং সামরিক ক্ষেত্রে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন সরকার এবং সামরিক বাহিনী একই দিকে রয়েছে। সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই বাহিনীর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতেই মানুষ এখানে স্থান পায়।
যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী শান্তি ও সম্প্রতির কথা বলছেন সেখানে ভিন্ন ও উস্কানিমূলক মন্তব্য শোনা গেল পাকিস্তান সেনাপ্রধান জাভেদ বাজওয়ার ভাষণে। তিনি বলেন, দৃঢ়তা এবং নির্ভীক ভাবে লড়াই করে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষকে আমি কুর্নিশ জানাই। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১-র যুদ্ধ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। তাই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য পরমাণু অস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলেছি। ভারত যে ভাবে উপত্যকায় (কাশ্মীর) নৃশংসতা চালাচ্ছে তাতে বিশ্বমঞ্চকে একযোগে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।