নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সংশোধিত তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে একাধিক সংগঠন। এর জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনজীবন ব্যহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বনধের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে।
সমাজের উচ্চবর্গে সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৩৫টি সংগঠন এই বনধের ডাক দিয়েছে। বিহারের আরহায় বনধ সমর্থককারীরা ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। রাজ্যের একাধিক জায়গায় দোকানপাট এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র এদিন বন্ধ ছিল। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মধ্যপ্রদেশের একাধিক জায়গায় আগাম সতর্কতা হিসেবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ৩৪ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভোপাল শহরের কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাহিনীকে বিভিন্ন জেলা বিভক্ত করে মোতায়েন করা হয়েছে।
বিহারের দ্বারভাঙ্গা এবং মুঙ্গেরের মাসুদানে বিক্ষোভকারীরা রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পাটনার রাজেন্দ্রনগর টার্মিলান রেলস্টেশনে বিক্ষোভকারীদের জটলা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি বিহারেও সেই একই চিত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে। রাজস্থানের আলওয়ার ও আজমেরে বনধের প্রভাব পড়েছে। মহারাষ্ট্রের থানেতেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে গোয়ালিয়রে ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি।