
কিছুদিন আগেই সংবিধানের ৩৫এ ধারার বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট| এরপর শুক্রবার, ৩১ আগস্ট সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে শীর্ষ আদালতে পুনরায় শুনানি শুরু হয়| জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে এএসজি তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট দেন, ‘রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এই মুহূর্তে ব্যস্ত সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থা|’ কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, ‘সর্বাগ্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হোক|’ সর্বোচ্চ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুরোধ জানানো হয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩৫এ মামলার শুনানি স্থগিত করা হোক| কেন্দ্রের আর্জিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে শীর্ষ আদালত| সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে ৩৫এ ধারা নিয়ে মামলার শুনানি| সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বরুণ কুমার জানিয়েছেন, সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে পুনরায় শুনানি হবে ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি|
সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে শুনানির জেরে শুক্রবারও স্তব্ধ কাশ্মীর উপত্যকা| শুক্রবার গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় বনধের ডাক দেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াল উমর ফারুক এবং ইয়াসিন মালিক| শুক্রবার সকাল থেকেই শ্রীনগর সহ কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ ছিল সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, গণপরিবহণ ব্যবস্থা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান| ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে কর্মীদের সংখ্যা নিতান্তই কম ছিল|