পাথারকান্দি (অসম), ২৩ আগস্ট, (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানা এলাকার তিলভূমে গভীর রাতে ফের বুনো হাতির দল হামলা চালিয়ে গবাদি পশু মারার পাশাপাশি গরিব দুই গৃহস্থের বসতঘর চুরমার করে দিয়েছে।
জানা গেছে, পাথারকান্দি নির্বাচন কেন্দ্র এলাকার বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদে বুনো হাতির তাণ্ডব ফের শুরু হয়েছে। বুনো হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করে সাধারণ জনগণের জীবন-সম্পত্তি একাধারে ক্ষতি সাধন করে চলেছে। এর স্থায়ী সমাধানে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ তো নয়-ই স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালও গ্রামের মানুষজনকে স্বস্তি দিতে সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
মাঝে দিনকয়েরক বিরতির পর বুধবার গভীর রাতে ফের বুনো হাতির দল স্বমহিমায় তাণ্ডব চালিয়েছে পাথারকান্দির তিলভূম এলাকার মাড়ুগাঁওয়ে। বুধবার রাত। ঘুমে আচ্ছন্ন গোটা গ্রাম। তখন প্রায় ছয়টি বুনো হাতির এক দল হানা দেয় মাড়ুগাঁওয়ে। হাতিদের গর্জন এবং মানুষের বাড়িঘর ভাঙার শব্দে ঘুম থেকে ওঠে গ্রামবাসীরা যে যার মতো পালিয়ে নিজের ও পরিবারবর্গের প্রাণ রক্ষা করেন। রাতের অন্ধকারে পালাতে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। বাঁশের মশাল, কাঁসর-ঘণ্টা বাঁজিয়ে ও আতসবাজি পুড়িয়ে দামালদের তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জনতার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে দামালরা নিজেরাই গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে চলে গেছে। আজ রাতেও যে এরা ফের গ্রামে এসে হামলা করবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বাসিন্দারা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই আতঙ্কিত গোটা মাড়ুগাঁও। ভুক্তভোগী গ্রামের জনৈক সজল নাথ জানান, বুধবার রাতে বুনো হাতির দাল মাঁড়ুগাঁওয়ে প্রবেশ করে সঞ্জীব দাস এবং স্বপন সরকারের দুটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে তাদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাদের উভয়ের বাড়ির ফসল তছনছ করেছে দামালেরা। হাতিদের পদপিষ্টে সঞ্জীব ও স্বপনদের দুই গরু, তিনটি ছাগল এবং একটি পোষা কুকুর মারা গেছে।
রাতেই পাথারকান্দির রেঞ্জার সুখদেব সাহাকে খবর দেওয়া হয়েছিল। গাড়ি ও স্টাফ নেই বলে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অকুস্থলে তিনি আসেননি বলে গ্রামের মানুষ অভিযোগ তুলেছেন।