
এলাহাবাদের এসএসপি নীতিন তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘সোমবার রাতে ধুমানগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যের মৃতদেহ| সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে গৃহকর্তার দেহ| স্ত্রীর দেহ পাওয়া যায় ফ্রিজের ভিতর থেকে| তিন মেয়ের দেহ উদ্ধার হয় সুটকেশ, আলমারি ও ঘরের মেঝে থেকে|’ এসএসপি নীতিন তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি| ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে|’
পদস্থ এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ওই ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি| তাই কি কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই ব্যক্তি, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়| প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পারিবারিক অশান্তির কারণেই সম্ভবত এই ঘটনা| প্রতিবেশীরা ছাড়াও পুলিশের তরফে মৃতদের পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে| উল্লেখ্য, দিল্লির বুরারির একই ঘর থেকে মিলেছিল ১১টি মৃতদেহ| একইরকমভাবে জুলাই মাসের ১৪ তারিখ ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাদে মুঙ্গা বাগিচা এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুই পুরুষ, দুই মহিলা ও দুই শিশুর দেহ| বুরারি ও হাজারিবাদ গণআত্মহত্যার ঘটনার স্মৃতি মুছতে না মুছতেই ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে গণআত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে|