নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ আগষ্ট৷৷ বিয়ের মাত্র সাত দিন পর স্বামীর হাতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমান শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বিএসসি নার্সিং পড়ুয়া নির্যাতিতা গৃহবধূ লিপি বেগম৷ বিয়ের রাতে যে রঙিন স্বপ্ণ নিয়ে আগামী দিনের সোনালী যাত্রার ছক লিপি কষেছিলেন, তা এক নিমিষে চুরমার হয়ে গেছে৷ জানা গেছে, লিপি বিএসসি নার্সিঙের ছাত্রী ছিলেন৷ তাঁর বাড়ি কৈলাসহরের ভগবাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়৷ গত পাঁচ জুলাই সামাজিক রীতিনীতি মেনে উনকোটি জেলাশাসকের দফতরে কর্মরত আব্দুল মহিম ওরফে মামন মিয়াঁর সঙ্গে লিপি বেগমের বিয়ে হয়৷ কিন্তু এই বিয়ে বেশি দিন টিঁকে থাকতে পারেনি৷ বিয়ের মাত্র সাত দিন পরেই লিপির জীবনে চলে আসে কালো মেঘ৷ যা লিপির সাজানো সুখের সংসার তছনছ করে দেয়৷ বিয়ের পরে লিপির স্বামী মামন লিপিকে তার বাবার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে৷ কিন্তু লিপির বাবা একজন সাধারণ রাজমিস্ত্রি৷ তাঁর পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় এ কথা লিপি তাঁর স্বামীকে বার বার জানালেও কাজের কাজ কিছুই হতো না৷ কোনও লাভ নয়, উল্টো লিপির উপর অত্যাচারের মাত্রা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পায়৷ শুধু লিপির স্বামীই নয়, তাঁর উপর অত্যাচারে শামিল হয় শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা৷ তাকে মারধর করা হয়৷ এতে লিপি গুরুতর আহত হয়৷ এর পর লিপিকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য৷ এদিকে লিপির মামা ঘটনার দিনই কৈলাসহর মহিলা থানায় তাঁর অত্যাচারী স্বামী আব্দুল মহিম এবং শ্বশুর মহম্মদ তালেব আলি, শাশুড়ি ছায়ারুন বেগম, বাই আব্দুল মতিন, প্রতিবেশী হেনা বেগমের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেন৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৮৮ ও ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷
2018-08-14