কলকাতা, ১৩ আগস্ট (হি.স.): জন্ম ২৫শে জুলাই, ১৯২৯, অসমের তেজপুরে। রাজনীতিবিদ এবং সংসদের নিম্নকক্ষ
লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হিসাবে টানা কয়েক যুগ ছিলেন সংবাদের শিরোনামে। সোমবার পতন হল সেই উজ্জ্বল রাজনৈতিক জ্যোতিষ্কের। সিপিএম-এর সদস্য ছিলেন দীর্ঘকাল। ১৯৭১ থেকে ’৭১— ছিলেন বর্ধমানের সাংসদ। ১৯৭৭ সালে মহম্মদ ইলিয়াসের বদলে দল সোমনাথবাবুকে যাদবপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী করে। ওই কেন্দ্রে জয়ী হন টানা ১৯৮৪ পর্যন্ত। এর পর ওই কেন্দ্রে হেরে যান কংগ্রেসের ‘নতুন চমক’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
১৯৮৯ থেকে ২০০৯— দু’দশক ছিলেন বোলপুরের সাংসদ। নিজের রাজনৈতিক জীবনের শেষ পর্বে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দলহীন সাংসদ হিসেবে লোকসভার চতুর্দশ অধ্যক্ষের দায়িত্বভার পালন করেন। ২০০৪-এর ৪ জুন থেকে ২০০৯-এর ১৬ মে ছিলেন ওই পদে।
বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রথিতযশা ব্যারিস্টার ও রাজনীতিবিদ। পুত্রও আইনজীবী। এ রাজ্যে দীর্ঘ বাম আমলে নানা সময়ে সোমনাথবাবুর আইনি পরামর্শ নিয়েছিল সিপিএম।
শেষদিকে, অসুস্থতা সত্বেও শয্যাশায়ী অবস্থায় বারবার প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছেন রাজ্যের বর্তমান শাসকদের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস, শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। ক‘দিন আগে একটি সংগঠন রাজ্যের নির্বাচনী অফিসার অমরেন্দ্রনাথ সিংহকে ‘ইমপিচ‘ করতে উদ্যোগী হয়। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো আবেদনপত্রে সই করেছিলেন সোমনাথবাবু।

