শান্তিনিকেতন, ৮ আগস্ট (হি.স.): এক ২২শে শ্রাবণ বিদায় নিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । মৃত্যুর পর পার হয়ে গেছে
এতগুলো দশক। সময়ের দখল এসেছে পরের পর প্রজন্মের হাতে। তবুতাঁকে ছোঁয়ার, বোঝার, পাওয়ার আর্তিতে ঘাটতি পড়েনি এখনও। বরং আত্মবিস্মৃত জাতি হিসেবে বাঙালির পরিচয় যেন ধাক্কা খায় এই এক জায়গাতে এসেই।তাই রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনেও এবারের ২২শে শ্রাবণ কবিকে খুঁজে নেওয়ার বিশেষ আয়োজন। সারা জীবন ধরে নিজের অকাতর সৃষ্টির স্বীকৃতিতে দেশ বিদেশ থেকে যে অজস্র সম্মান, সম্বর্ধনা, অভিজ্ঞান পত্র, শংসাপত্র পেয়েছিলেনরবীন্দ্রনাথ, সে সব নিয়েই আজ প্রদর্শনী শুরু হল বিশ্বভারতীতে।
এদিন উপাসনা গৃহে বিশেষ উপাসনায় পৌরোহিত্য করেন বিশ্বভারতী উপাচার্য সবুজকলি সেন। অনুষ্ঠানের পরে রবীন্দ্র ভবনের বিচিত্রা কক্ষে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন উপাচার্য। একাধিক বই বইলোকারপন করেন উপাচার্য। অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ সিংহ।
২২ শ্রাবন সকালে রবীন্দ্র প্রয়ান দিবসের উপাসনা শেষে উন্মোচিত হবে একটি প্রদর্শনী। রবীন্দ্র ভবনের বিচিত্রা কক্ষে আয়োজিত \”রবীন্দ্রনাথের শংসাপত্র\” শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকউন্মোচন করেন বিশ্বভারতী উপাচার্য সবুজকলি সেন। প্রদর্শনীর ছয় টি প্যানেল এ থাকছে ১৯৪০ সালে রবীন্দ্রনাথ কে অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের দেওযা ডিলিট সার্টিফিকেট। এছাড়াও থাকছে কোলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট সার্টিফিকেট।
প্রদর্শনী তে থাকছে রবীন্দ্রনাথ নাথের জন্মদিনে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সন্মাননা পত্র। কবির ৭০ বছরের জন্মদিনে কোলকাতা টাউন হলে সম্বর্ধনা, নোবেল এর সার্টিফিকেট, এমনকি নোবেলপাওয়ার পর ১৯১৩ সালে কোলকাতা ওরিযেনটাল ক্লাবের সম্বর্ধনা পত্র। শুধু দেশে নয়, বিদেশের মাটিতে ও কবি বার বার সংবর্ধিত হয়েছেন, পেয়েছেন শংসাপত্র। তার মধ্যে লন্ডনে lyceun club এরসম্বর্ধনা পত্র, করাচীবাসীর অভিজ্ঞান পত্র,কবির বাগদাদ আগমন উপলক্ষে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ইন ইরাক’ এর অভিজ্ঞান পত্র।ইন্দো – জাপানিজ অ্যাসোসিয়েশন এর কৃতজ্ঞতা পত্র। জাপানেভ্রমন কালে ইন্ডিয়ান কমিউনিটি অফ যোকোহাম প্রদত্ত সন্মাননা। লন্ডনে রাজা জন্মদিন উপলক্ষে নাইটহুড সন্মাননা মত বিদেশে বহু অভিজ্ঞান পত্র নিযে একটি পৃথক প্যানেল থাকছে প্রদর্শনী তে।
আরও একটি পৃথক প্যানেলে থাকছে রবীন্দ্রনাথ কে সন্মাননা জানানোর কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি। ত্রিপুরা রাজা উপস্থিতি তে উদযন বাড়ির সামনে রবীন্দ্র নাথ কে প্রদান করা হল ভারত ভাস্করসন্মাননা। সেই অনুষ্ঠানের ছবি ও কবি কে দেওয়া মানপত্র শোভিত হবে প্রদর্শনী তে। এখানেই শেষ নয়, অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষে ১৯৪০ সালে রবীন্দ্রনাথ কে ডিলিট প্রদান করতেশান্তিনিকেতন এ আসেন তৎকালীন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ফিলোজফির অধ্যাপক সর্বপল্লী রাধা কৃষ্ণাননান ও ব্রিটিশ অধ্যাপক মরিশ গাওযাড সিংহসদনে সামনে ডিলিট সন্মাননা প্রদান করছেনতার ছবি।
নোবেল সন্মান পাওয়ার পর শান্তিনিকেতনে যে সন্মাননা অনুষ্ঠান হযেছিল তার ছবি ও থাকছে প্রদর্শনী তে। একই ভাবে থাকছে নোবেল প্রাপ্তির পর কালী গ্রাম পরগনার প্রজাদের শংসাপত্র। এমনকিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেহের সৎকার এর পর কোলকাতা নিমতলা মহাশ্মশানের দেওয়া সার্টিফিকেট ও এবার প্রথম দেখতে পাবেন আপামোর রবীন্দ্র অনুরাগীরা। বিশ্বভারতী রবীন্দ্র ভবনের প্রাধিকারিকনীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রবীন্দ্রনাথ সারা জীবন বহু সন্মাননা, শংসাপত্র, অভিজ্ঞান পত্র পেয়েছেন। যার প্রসঙ্গে বহু মানুষ পরেছেন জেনেছেন। কিন্ত সেগুলি কেমন দেখতে বিকালে নব নির্মিতবাংলাদেশ ভবন প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা বিশ্বভারতী ছাত্র ছাত্রীরা শোভাযাত্রা করে গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করতে করতে উৎসব প্রাঙ্গনে এসেপৌঁছয়। চতুরদোলা একটি নবীন চারা কে আনা হয় উৎসব ক্ষেত্রে। সেখানে পঞ্চ ভুতের প্রশস্তির মাধ্যমে বৃক্ষ রোপন জল সিঞ্চন করা হয়। অনুষ্ঠানের অতিথি রুপে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশসরকারের উপ হাই কমিশন তৌসিফ হক উপাচার্য সবুজকলি সেন।হিন্দুস্থান
