নিজস্ব প্রতিনিধি, বিশ্রামগঞ্জ, ৮ আগস্ট৷৷ বিশ্রামগঞ্জে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের নবনির্মিত উপ-অধিকর্তারত কার্যালয়ের আজ উদ্বোধন করেন
উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রধান সচিব ড ভেঙ্কটেশ্বরালু, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ড অসিত চক্রবর্তী প্রমুখ৷ উদ্বোধনী ভাষণে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, গ্রামীণ এলাকায় কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রাণী প্রতিপালন করা অত্যন্ত জরুরি৷ কৃষকরা চাষাবাসের পাশাপাশি প্রাণী পালন করে বাড়তি উপার্জন করতে পারেন৷ তিনি বলেন, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে পশুপালন করে প্রাণী পালকরা লাভবান হতে পারেন৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুবিধাভোগীদের হাতে গরু, ছাগল, শূকর সহ অন্যান্য পশু-পাখি তুলে দিয়েই কাজ শেষ হয় না৷ দপ্তরের কর্মী এবং সুবিধাভোগীদের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে৷ তবেই দুধ, ডিম, মাংস ইত্যাদিতে রাজ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার আধুনিক পদ্ধতিতে পশুপালনে মানুষকে উৎসাহিত করতে চাইছে৷ এই কাজে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিরাট ভূমিকা নিতে হবে৷ উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্বতন সরকার থেকে বর্তমান সরকারের চিন্তা-ভাবনা অন্যরকম৷
এই সরকার একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে৷ তিনি বলেন, যারা পিছিয়ে রয়েছে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার সচেষ্ট৷ প্রশাসনকে গরিবদের পাশে দাঁড়াতে হবে৷ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দপ্তরগুলিকে উন্নয়ন কর্মসূচি সফল করতে তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন৷
অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাসও আলোচনা করেন৷ স্বাগত ভাষণ দেন দপ্তরের উপ-অধিকর্তা পরিমল দাস৷ অনুষ্ঠানে দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার ৭৯ জন উপজাতি সুবিধাভোগীর মধ্যে শূকর ছানা বিতরণ করা হয়৷ উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা সুবিধাভোগীদের হাতে শূকর ছানা তুলে দেন৷ অনুষ্ঠান শেষে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রাণী পালকদের নিয়ে প্রাণী পালনের উপর প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়৷ জেলার ১২০ জন প্রাণী পালক এতে উপস্থিত ছিলেন৷ দ্বিতল বিশিষ্ট নতুন এই ভবন নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৪১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা৷
2018-08-09

