নয়াদিল্লি, ১ আগস্ট (হি.স.): রাজ্যসভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বক্তব্য পেশ না করতে দেওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলল বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, কিসের ভয় পাচ্ছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হয়ে প্রকাশ জাভরেকর বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদেরা রাজ্যসভায় বারবার বিধি নিয়ে সরব হয়ে বিজেপি সভাপতিকে তার ভাষণ সমাপ্ত করতে দেয়নি। প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের সুখেন্দুশেখর রায়, পরে কংগ্রেসের ভুবনেশ্বর কলিতা বারবার উঠে বিজেপি সভাপতির বক্তব্যকে বাঁধা দেন। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। আগে থেকে পরিকল্পনাকে করে এমন এই কাজ করা হয়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস ঠিকই করে নিয়েছে যে তারা বিজেপি এবং সরকার পক্ষের কোনও বক্তব্যই শুনবে না। গণতন্ত্রের প্রতি চরম আঘাত করেছে তারা। মঙ্গলবার যখন এই নিয়ে আলোচনা হয় তখন আমরা ধৈর্য ধরে ২০জন সদস্যের বক্তব্য শুনেছি। কিন্তু বিজেপি ও সরকার পক্ষের বক্তব্যের সময় এই দুইটি দুল ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিরোধীদের হই হট্টগোলের জেরে এদিন শুরু থেকে বারবার রাজ্যসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটানো হয়েছিল। দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্যসভার অধিবেশন যখন আবার বসে তখন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে বলেন। এর প্রতিবাদ করে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন একই সদস্য যিনি আগে বলেছেন তিনি ফের দ্বিতীয়বার বলার সুযোগ পাওয়া উচিত নয়। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এই দাবি খারিজ করে দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন মঙ্গলবার বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে অমিত শাহ নিজের বক্তব্য সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তাই তিনি ফের বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন। এদিন ফের যখন অমিত শাহ নিজের বক্তব্য রাখতে যান তখন ফের হট্টগোল করতে থাকে তৃণমূলের সাংসদরা। ওয়েলে নেমে চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের সাংসদরা।
পরে চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বক্তব্য রাখার জন্য বলেন । কিন্তু বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নিজের বক্তব্য শুরুই করতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরই এদিনের মত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান।