নয়াদিল্লি, ১ জুলাই (হি.স.) : ভারতীয় অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদি উপকার করবে জিএসটি। দেশজুড়ে জিএসটি দিবস পালনের উপলক্ষ্যে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পী্যূষ গোয়েল। এদিন রেলমন্ত্রী বলেন, পণ্য এবং পরিষেবা কর (জিএসটি) অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদি উপকার করবে। জিএসটিতে সহযোগীতা করার জন্য আমি সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই। জিএসটি স্বচ্ছতা এনেছে।
জিএসটি দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, পণ্য এবং পরিষেবা কর বিরাট আর্থিক সংস্কার। আগেকার পরোক্ষ কর কাঠামো জটিল থাকার কারণে জিএসটির দরকার ছিল।
জিএসটি-কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, জিএসটি সাধারণ মানুষের মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন এনেছে। পরিসংখ্যানই তা বলে দিচ্ছে।
অন্যদিকে জিএসটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি সরকারের জিএসটির সংশোধিত বিল থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপ ত্রুটি পূর্ণ। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্ঠার সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে জিএসটি কার্যকর করা হয়েছে। নোটবন্দির মতো জিএসটিও সরকারের খারাপ কাজগুলির মধ্যে অন্যতম। জিএসটির নকশা, কাঠামো, পরিকাঠামোগত মেরুদন্ড, হার সবই ত্রুটিপূর্ণ। ব্যবসায়ী, রফতানিকারী, সাধারণ মানুষের কাছে জিএসটি একটি খারাপ শব্দ।
অন্যদিকে পি চিদম্বরমের এই আক্রমণের পাল্টা রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, জিএসটি কার্যকর হওয়ার পরে কোনও বাঁধা বা আর্থিক বৃদ্ধিতে তার কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। আমি পি চিদম্বরমকে বলতে ‘আঙুর ফল টক।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে জিএসটির ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব হাসমুখ আধিয়া জানিয়েছে, জুন মাস পর্যন্ত জিএসটি থেকে আয় হয়েছে ৯৫৬১০ কোটি টাকা। দলীয় লাইন থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের রাজ্যের স্বার্থের জন্য ২৭টি জিএসটি কাউন্সিলে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নেতারা। রেকর্ড সময়ের মধ্যে ৩১ টি রাজ্য জিএসটি বিল পাশ করিয়েছে।