মাকে নৃশংসভাবে হত্যা, ধৃত ছেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুন৷৷ সম্পত্তির লোভে মাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ছেলেকে৷ মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করার পর মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তারপর ছেলেই পুলিশকে খবর দিয়েছে মা আত্মহত্যা করেছে বলে৷ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে শহরতলীর হাপানীয়ার কল্যাণপাড়া এলাকায়৷ এই নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর জানাজানি হতেই গোটা শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ছেলেকে আটক করা হয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, কল্যাণ পাড়ার বাসিন্দা পারুল বালা রায়ের ছেলে গৌতম রায় আমতলী থানায় ফোন করে জানান যে তাঁর মা আত্মহত্যা করেছেন৷ পুলিশ সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এসডিপিও অজয় কুমার দাস সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারীকরা৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের পাঠিয়ে দিয়েছে৷ প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্তে গৌতম রায়কে সন্দেহের তালিকায় পায়৷ তাকে জেরা করে কিছু অসংলগ্ণতা পেয়েছে পুলিশ৷ সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ গৌতম রায়ের বাড়ি থেকে কিছু সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে যা দেখে পুলিশ নিশ্চিত যে এটি আত্মহত্যা নয়৷ পরিকল্পিত হত্যাকান্ড৷ এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে গতকাল রাতে পারুল বালা রায়ের সাথে ছেলে ও ছেলের বৌয়ের ঝগড়া হয়েছিল৷ তখন চিৎকার করে পারুল বালা রায় বলেছিলেন কাল সকালে তাকে আর ভরন পোষণের চিন্তা করতে হবে না৷ তিনি চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে যাবেন৷
পুলিশের আশঙ্কা ছেলে ও ছেলের বৌ পারুল বালার এই বক্তব্যকে পঁজি করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এবং বিষয়টিকে আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ যাতে স্থানীয়রা ভাবতে পারেন যেহেতু পারুল বালা রায় গতরাতে চিৎকার করে বলেছিলেন তাই বিষয়টি অনায়াসেই আত্মহত্যার রূপ নেবে৷ কিন্তু, পুলিশ তদন্তে নেমে হত্যার বিষয়টি আন্দাজ করতে পারছে৷ পুলিশ জানিয়েছে সোমবার সকালের মধ্যে গোটা বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে৷ এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড৷ তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ যদি, এটি সত্যিই হত্যাকান্ড হয়ে থাকে তাহলে তা গর্হিত অপরাধ৷ গর্ভধারীনি মাকে পাষন্ড ছেলে খুন করেছে, আবার তাও সম্পত্তির লোভে৷ এতেই প্রমাণ হচ্ছে যে সমাজ ও পরিবার কতটা অধপতনে চলে যাচ্ছে দিন দিন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *