কড়া নজরদারিতে কংগ্রেস ও জেডি (এস) বিধায়করা, বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে সিদ্দারামাইয়া, গোলাম নবী অাজাদ ও মল্লিকার্জুন খারগে হায়দরাবাদে

নয়াদিল্লি, ১৮ মে (হি.স.) : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার বিকেলে কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে নাটকীয় মোড় নিয়েছে কর্ণাটকের রাজনীতিতে। বিজেপি দল ভাঙাতে পারে, এই আশঙ্কায় কর্ণাটকে বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে নজরদারিতে রাখছে কংগ্রেস ও জেডি (এস)। কর্ণাটকের সমস্ত জেডি (এস) ও কংগ্রেস বিধায়কদের শহরে দুটি বিলাসবহুল হোটেল কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের শহরে তাজকৃষ্ণ হোটেল ও জেডি (এস) বিধায়কদের বানজারা হিলসের পার্ক হায়াত পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১১৬ জন বিধায়ককে নিয়ে রওনা দেয় তিনটি বাস। দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি শহর ঘুরে শুক্রবার সাত সকালেই তিনটি বাস হায়দরাবাদ পৌঁছান জোট বিধায়করা। কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী শিবকুমার কেরলে যাওয়ার অনুমতি পাননি। এমনকি কংগ্রেস বিধায়কদের মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহারে কড়াকড়ি করা হয়েছে। এদিন হিন্দুস্থান সমাচারের প্রতিনিধি হোটেল ঘুরে জানান, কংগ্রেস বিধায়কদের সুরক্ষায় প্রায় চারশো কর্মীরা গোটা হোটেলকে ঘিরে রেখেছেন। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডির তত্ত্বাবধানে বিধায়কদের রাখা হয়েছে। খবরে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী অাজাদ ও বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগে একটি বিশেষ বিমানে হায়দরাবাদ পৌঁছাবেন এবং হোটেলে বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলবেন। এদিন বিকেল ৫টায় অাগামীকালের বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন সম্পর্কে বিধায়কদের সঙ্গে অালোচনাও করবেন। সূত্রের খবর, এদিন রাতেই কংগ্রেস বিধায়কদের বাসেই বেঙ্গালুরুর নিয়ে যাওয়া হবে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জেডি (এস) বিধায়কদের বানজারা হিলসের পার্ক হায়াত পাঁচতারা হোটেল থেকে অাগামীকাল শনিবার সকাল অাটটা নাগাদ চাটার্ড বিমানে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে অাসা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কর্ণাটক বিধানসভায় ‘আস্থা ভোট’-এর নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, বিকেল চারটের আগেই শেষ করতে হবে বিধায়কদের শপথগ্রহণ পর্ব। তারপর কার্যনির্বাহী অধ্যক্ষ নিয়োগের পালা। ঠিক চারটের সময় বিধানসভার নিয়ম মেনে আস্থা ভোট আয়োজিত হবে। ব্যবহার করা যাবে না গোপন ব্যালট। এমনকি সভাগৃহের ভিতরে তোলা যাবে না ছবি। নিরাপত্তার ব্যবস্থায় থাকবেন স্বয়ং ডিজিপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *