
যদিও এই পরাজয়ের জন্য স্থানীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। ভোটগণনা চলাকালীন যখন স্পষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেস হারছে তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডি কে শিবকুমার বলেন, রাহুল গান্ধী তার সেরাটা দিয়েছেন। কিন্তু আমরাই নির্বাচনটা হেরে গিয়েছে। আমরা মানে স্থানীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। আর সেই কারণেই আমরা হেরে গিয়েছি।
এদিকে নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য ইভিএম যন্ত্রকেই দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা মোহন প্রকাশ। এদিন তিনি বলেন, আমি প্রথম দিন থেকেই বলে আসছিলাম। ইভিএম নিয়ে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তোলে। এমনকি বিজেপিও পূর্বে এই নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল। আর এখন যখন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তখন ব্যালটে নির্বাচনে করতে বিজেপির অসুবিধা কোথায়?
অন্যদিকে প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের মানুষ ভাল প্রশাসন চায়। আর সেই জন্যই তারা কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছে। দলের জন্য সব থেকে বড় জয় এটি। একটার পর একটা রাজ্য কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে চলেছে। আর আমরা একটার পর একটা রাজ্য জিতে চলেছি।’ বিজেপির আর এক নেতা রাম মাধব জানিয়েছেন, এই জনাদেশের জন্য কর্ণাটকের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহজি, রাজ্য নেতৃত্ব, দলীয় কর্মী এবং আরআরএস কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের সৌজন্যে এই কাঙ্খিত জয় এসেছে। দক্ষিণবর্তে বিজেপির যাত্রার শুরু হল। সঙ্ঘ পরিবারের কর্মীরা সাহা্য্য করেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় সঙ্ঘ পরিবারের কর্মীরা প্রভূত সাহা্য্য করেছে।
প্রসঙ্গত, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০৯ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস ৭১ এবং জেডি(এস) ৪০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।