দিল্লিতে ধুলোর ঝড়, ব্যাহত মেট্রো ও বিমান পরিষেবা

নয়াদিল্লি, ১৩ মে (হি.স.) : ফের শক্তিশালী ধুলোর ঝড় আছড়ে পড়ল দিল্লিতে। রবিবার দুপুরের পর কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর রাজপথ। হাওয়ায় বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে | ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছে সড়ক, মেট্রো ও বিমান পরিষেবা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই। হওয়া এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় প্রবল ঝড় আছড়ে পড়বে দিল্লি, নয়ডা ও গুরুগ্রামে। ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস ছিল উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচলপ্রদেশেও। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে রবিবার বিকেলে প্রবল ঝড় আছড়ে পড়ে রাজধানী-সহ গোটা এনসিআর-এ। রবিবার দুপুরের পর কালো মেঘে ঢেকে যায় রাজধানীর রাজপথ। মহানগরীর মতোই দিনেই নামে রাতের অন্ধকার। বেলাগাম হাওয়ায় ওপড়াল বেশ কয়েকটি গাছ। ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছে সড়ক, মেট্রো ও বিমান পরিষেবা।
বেশ কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে দিতে হয় মেট্রো পরিষেবা। নয়ডা-দ্বারকা লাইনে প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল। থমকে যায় বিমান পরিষেবাও। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। ঘুরিয়ে দেওয়া হয় কমপক্ষে ১০টি বিমান। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০-৭০ কিমি ছিল।
ধুলো-ঝড়ের কবলে দিল্লি। মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই দিল্লিতে তীব্র গরম ছিল। সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ৬০ শতাংশ। কিন্ত, বিকেল হতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। সাড়ে চারটে নাগাদ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায় রাজধানীর ওপর দিয়ে। তাতে, গরমের অস্বস্তি থেকে কিছুটা রেহাই পান মানুষ। কমে যায় তাপমাত্রা।
এদিকে, মৌসম ভবনের সতর্কতা, আগামীকাল উত্তরপ্রদেশের ২৬টি জেলায় ধুলো-ঝড় হতে পারে। হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিও। সেইসঙ্গে, ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—বারাইচ, শ্রবস্তী, বলরামপুর, গোন্ডা, সিদ্ধান্ত, ফৈজাবাদ, সুলতানপুর, আজমগড় ও অম্বেডনগরে ধুলো-ঝড় হতে পারে। এছাড়া, ধুলো-ঝড় হতে পারে মাউ, দেওরিয়া, বালিয়া, গাজিপুর, জৌনপুর, প্রতাপগড়, এলাহাবাদ, সন্ত রবিদাস নগর, বারাণসী, চন্দৌলি, মিরজাপুর এবং সোনভদ্র জেলায়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলে তাতে প্রাণ হারান ১৮ জন। আহত হন আরও ২৭। তার আগে, ২-৩ মে ঝড় ও বজ্রপাতে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গনা, উত্তরাখণ্ড ও পঞ্জাবে ১৩৪ জন মারা যান। আহত হন তার শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই মৃত্যু হয় ৮০ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *