ধৃত ২৪ মৌলবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল দিল্লী থেকে আসা এনআইএ টিম

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ মে৷৷ আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে ধৃত ২৪ জন বিদেশি সন্দেহভাজন মৌলবাদীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে জাতীয়

আগরতলা রেল স্টেশনে ধৃত ২৪ মৌলবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসে এনআইএ টিম৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-র আধিকারিকদের এক বিশেষ দল৷ প্রয়োজনে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে এনআইএ৷ ত্রিপুরায় এসেছেন এনআইএ-র তিন আধিকারিক৷ আরও কয়েকজন রাজ্যে আসছেন৷ ধৃতদের রাজধানীর তিনটি থানায় রাখা হয়েছে৷ প্রত্যেকটি থানায় আটজন করে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এনআইএ-র আধিকারিকরা৷ ধৃতরা বাংলাদেশি হলেও তারা খুব ভালো হিন্দি, উর্দু ও ফারসি বলতে পারে৷ আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, অবৈধভাবে টানা তিন বছর তারা ভারতে অবস্থান করছিল৷ উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের মাদ্রাসায় তারা ধর্মীয় শিক্ষার নামে আস্তানা গেড়েছিল৷ তবে এখন তাদের কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ অনেকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগও রয়েছে৷ সাহারানপুরের দাঙ্গায় তাদের ভূমিকা ছিল বলে জাতীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের অনুমান৷ উত্তর প্রদেশ পুলিশ তাদের চিহ্ণিত করতে পেরেছিল৷ তাই এখন তারা আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছিল বলে রাজ্য পুলিশ মনে করছে৷ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালতে পুলিশ ধৃতদের বিষয়ে তদন্তের জন্য কোনও সর্বভারতীয় সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে৷ কারণ তাদের কাছ থেকে বহু আপত্তিকর কাগজপত্র পাওয়া গেছে৷ যা জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত৷ তাদের কাছে থেকে যে আধারকার্ড পাওয়া গেছে তা যথাক্রমে জম্মু-কাশ্মীর, বিহার এবং উত্তর প্রদেশে বানানো৷ ধৃতরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলেও অনুমান করা হচ্ছে৷ গত বৃহস্পতিবার আগরতলার রেল স্টেশন থেকে ২৪ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ ধৃতদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি৷ তবে কয়েকজন রোহিঙ্গা আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে৷ ধৃতদের শুক্রবার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়৷ আদালত পুলিশের তরফে উত্থাপিত নথিপত্র দেখে ধৃতদের সাতদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়৷ ধৃতদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ডগুলি প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বের করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচেছ৷ তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ধৃতরা দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ছিল৷ উত্তর প্রদেশের একটি মাদ্রাসায় তারা ধর্মীয় শিক্ষা নিয়েছে বলে প্রথমেই স্বীকার করেছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *