কোপ্পাল, ২৮ এপ্রিল (হি.স.): কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই কংগ্রেস বনাম বিজেপির বাকযুদ্ধ বেড়েই চলেছে। দক্ষিণের একমাত্র কর্ণাটক এখনও কংগ্রেসের দখল। অন্যদিকে কেন্দ্রে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপির তরফ থেকে কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রে বিগত ৪ বছরে ভারতের সিংহভাগ রাজ্যে গেরুয়া পতাকা উড়েছে। এবার কর্ণাটক জিতে দক্ষিণ ভারতে পা রাখছে চাইছে বিজেপি। তাই নজিরবিহীন ভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কোপ্পালের এক জনসভা থেকে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন তিনি। রাজ্যের উন্নয়নকল্পে কেন্দ্রের পাঠানো কোটি কোটি টাকা সিদ্দারামাইয়া সরকার আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনে কর্ণাটকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮৮,৫৮৩ কোটি টাকা যেটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকার বাড়িয়ে করেছিল ২,১৯,৫০৬ কোটি টাকা। মোদী সরকার কেন্দ্রের তরফ যে টাকা রাজ্যের উন্নয়নকল্পে পাঠিয়েছিল তার পুরোটাই আত্মসাৎ করেছে সিদ্দারামাইয়ার সরকার।’ অন্যদিকে রাজ্যের বেহাল আর্থসামাজিক পরিস্থিতি কথা তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, ‘জীবনধারণের জন্য কর্ণাটক সরকার রাজ্যবাসীকে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি বিদ্যুৎ পরিষেবাও তারা দিতে পারেনি। কিন্তু তাদের(কংগ্রেস) মুখ্যমন্ত্রী ৪০ লক্ষ টাকার ঘড়ি পড়ছেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় রাজ্যে দুর্নীতি কোন পর্যায় গিয়ে পৌঁছিয়ে গিয়েছে।’ এছাড়াও রাজ্যের কৃষকদের আত্মহত্যা, নারী নির্যাতন এবং বেকারত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অমিত শাহ।
অন্যদিকে অমিত শাহ দাবি করছেন, কর্ণাটকে মূলত সিদ্দারামাইয়ার ভরসায় নির্বাচনে লড়াই করছে কংগ্রেস। আর সেই সিদ্দারামাইয়াই হেরে যাওয়ার ভয়ে ভোটে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে। তাই তুলনামূলক নিরাপদ আসন থেকে তিনি নির্বাচনে লড়াই করছেন। যে নিজেই ভোট লড়ার থেকেই পালাচ্ছেন সে কি করে নির্বাচনে নিজের দলকে জেতাবেন।