নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৩১ মার্চ৷৷ আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথেই আঠারমুড়া পাহাড়ের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলবাহিত পেটের রোগের প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের নেই কোন হেলদোল৷ এলাকায় অবস্থানরত আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দেখা৷ এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা৷
তেলিয়ামুড়া মহকুমার অধীন মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের উত্তর গকুলগনর এডিসি ভিলেজের বিলাইহাম পাড়া৷ এই এলাকার গমনজয় রিয়াংয়ের পাঁচ মাসের শিশুকন্যাী বন্দিরো রিয়াং ও খরজয় রিয়াংয়ের দুই বছরে শিশুপুত্র তর্জন রিয়াং সহ আশেপাশের আরো কিছু শিশু বেশ কয়েকদিন ধরে পেট খারাপ, বমি ও জ্বরে আক্রান্ত৷ কিন্তু নুন আনতে পান্থা ফুরায় পরিবারগগুলির এতটুকু সাধ্য নেই যে তাদের শিশুদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার৷ তাদের একমাত্র ভরসা ঐ এলাকায় যদি সরকারী কোন স্বাস্থ্য শিবির হয়৷ তা দিয়েই বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে রোগীদের ভালো হওয়ার সুযোগ পায় তারা৷ আর তা না হলে গ্রামের ওঝা দিয়ে ঝাড়ফোক করিয়ে যদি রোগ ভাল হয় তো ভাল, না হলে শেষ পর্যন্ত নিজেদের কোলের শিশুদের মৃত্যুর মুখে তুলে দেওয়া৷
এলাকাবাসীর বক্তব্য বিগত বছরগুলিতে কিছু কিছু স্বাস্থ্য শিবির করা হলেও পরবর্তী সময়ে আর তাদের খোঁজ খবর রাখে না৷ তারা কি সুস্থ হল না কি তাদের সচেতন করা গেছে, কোন কিছুরই খবর রাখার মত কেউ থাকে না৷ নামকাওয়াস্তে স্বাস্থ্য শিবির করেই দায়িত্ব খালাস৷ কিন্তু আর যে কোন স্বাস্থ্য শিবির করা হচ্ছে না তাতে তারা ক্ষুব্ধ৷ এবার নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যে৷ সবকিছুর পরিবর্তন হবে বলে তাদের আশা৷ ঘটবে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভূতপূর্ব উন্নতি৷ তারা রাজ্য সরকারের কাছে আশা রাখছেন এবারে হয়তো প্রত্যন্ত এলাকার জনগণও স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন৷ আর এখন থেকেই যদি রাজ্য সরকার প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে গুরুত্ব না দেয় তাহলে যেকোন সময় যেকোন রোগ মহামারির আকার ধারণ করতে পারে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে৷