নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৭ মার্চ৷৷ জাল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরীর বড়সর চক্রের হদিশ পেল সিপাহীজলা জেলা পুলিশ প্রশাসন৷ এই চক্রের মূল পান্ডাসহ তিনজকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর জাল প্যান কার্ড ও আধার কার্ড৷
বহুদিন ধরেই সোনামুড়া ও বিশালগড় মহকুমার সক্রিয় রয়েছে এই জাল কার্ড তৈরীর চক্রটি৷ এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছিল৷ তাই প্রশাসন তৎপর হয়৷ প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিকের নামে হয়েছে ভারতীয় পরিচয়পত্র৷ এই চক্র এতদিন বুক ফুলিয়ে কমিশন নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করেছে৷ কিন্তু, সরকার পরিবর্তন হতেই এদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে৷ সোমবার রাতে সিপাহীজলা জেলা পুলিশ প্রশাসন বিশালগড়ের রামছড়ায় চেলিখলা থেকে এই চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে৷ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এই চক্রের মূল পান্ডা সুধীর দাসের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়৷ পুলিশ প্রচুর জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করে৷ সুধীর দাসের ভাই মিঠন দাসের বাড়ীতেও অভিযান চালানো হয়৷ দুই ভাইয়ের ঘর থেকে পুলিশ প্রায় ৩৫০ টি জাল আধার কার্ড ও প্রায় ১০০ জাল প্যাণকার্ড উদ্ধার করে৷ এর মধ্যে কয়েকটি আধার কার্ড দেখে পুলিশ জাহাঙ্গীর আলম নামে এই চক্রের আরও এক পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে৷ বিশালগড় ও সোনমুড়ায় জাল আধার কার্ডের ছড়াছড়ি৷ মিঠন দাস এই জাল আধার কার্ড দেখিয়ে মহকুমার যে কোন একটি গ্যাস এজেন্সিতে প্রায় ৩৫০ টি গ্যাসের বই তৈরী করে নেয়৷ জাল আধার কার্ড লিঙ্ক করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়৷ জাহাঙ্গীর আলম পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও সে সুধীর ও মিঠনের খদ্দের যোগার করে দিত৷ এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মমতাজ মিয়ার কাছ থেকে নগদ ৫২ হাজার টাকা নেয় সুধীর দাস৷ বিনিময়ে ঐ ব্যক্তিকে এই ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়া হয়৷ তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে সুধীর দাস সুকান্ত পাল নামে শহরের এক আইনজীবীর অধীনে কাজ করতো৷ এই কাজ ছেড়ে দিয়ে সে নিজের এলাকায় জাল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরীর চক্র বানায়৷ এই চক্রের অন্যান্য পান্ডাদের জালে তুলতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে৷