নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মার্চ ৷৷ সমগ্র ত্রিপুরায় উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজার অন্তিম দিনে হচ্ছে নবমী পূজো৷ ষষ্ঠী পূজোর মধ্য দিয়ে দেবীকে বরণ করা হয়েছিল বৃহস্পতিবার৷ প্রতি বছরের মতো এ বছরও আগরতলা সহ ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মন্দির, সর্বজনীন এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে হচ্ছে বাসন্তী পূজা৷ বাসন্তী পূজা উপলক্ষ্যে আগরতলায় ঐতিহ্যবাহী দুর্গাবাড়িতে প্রচুর মানুষের সমাগত হচ্ছে৷ দুর্গাবাড়ির সামনে বসেছে মেলাও৷ হিন্দুশাস্ত্র মতে, বাসন্তী পূজায় দেবী দুর্গারই আরাধনা করা হয়৷ বসন্তু ঋতুতে দেবীর পুজা হয় বলেও এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়৷ হেমন্ত ঋতুতে দেবী কাত্যায়নী পুজো হয় দুর্গাবাড়িতে৷ এই সব পূজায়ও শরৎকালের শারদীয় দুর্গাপুজোর মতো ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজা শেষে দশমীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়৷ ত্রিপুরা সরকারের দুর্গাবাড়ির বাসন্তী পুজা শারদীয় দুর্গাপুজোর মতোই অনেক বিষয়েই ব্যতিক্রমী৷ এখানে দুর্গাদেবীর মতই বাসন্তী পুজাতেও দেবীর দুহাত৷ রাজ আমল থেকেই এমনই হয়ে আসছে৷ রাজ পুরোহিত দুলাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দেবীর আট হাত থাকে পেছনে লুকানো৷ দেখা যায় না৷ দেবীর দশভুজা রূপ দেখে ভয় পেয়েছিলেন মহারানি৷ তাই দুর্গা স্বপ্ণ দেখিয়ে দুর্গাবাড়িতে দু-হাতের মুর্তিই পুজা করার নির্দেশ দেন৷ বাকি অষ্টভূজা রূপ নাকি গোপন রয়েছে৷ তাই অঙ্গহানি হয়নি বলেই রাজ পুরোহিতের দাবি৷ ত্রিপুরার দুর্গাবাড়িতে পুজার পুরো বন্দোবস্তই হয় সরকারি কোষাগার থেকে৷ রাজ্য বিধানসভায় পাস করা বাজেটে উল্লেখ থাকে দেবী পুজোর খরচ৷ পদাধিকার বলে পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক পুজার সেবাইত৷ ত্রিপুরার ভারত চুক্তির শর্ত মেনেই এই পুজার ভরত বর্তেছে রাজ্য সরকারের ওপর৷ তাই সরকারের ইচ্ছে বা অনিচ্ছার এখানে কোনও মূল নেই৷ আগরতলায় দুর্গাবাড়ির বাসন্তী পূজা সরকারি হলেও সাধারণ মানুষও অংশ নেন ভক্তিভরে৷ তবে রাজবাড়ির দেবী দ্বিভুজ হলেও ত্রিপুরার অন্যত্র দেবী দশভুজাই৷ এদিকে বাসন্তী পুজোর নবমীদিন আজ কুমারী পুজো হয়েছি আনন্দময়ী মায়ের আশ্রমে৷