নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১১ মার্চ৷৷ উত্তর জেলার কদমতলায় আন্ত্রিক ও ডায়রিয়ায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতরা সবাই চা বাগানের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা৷ এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছুটা তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷ স্বাস্থ্য শিবির করে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে৷ তবে ঐ এলাকার জনগণের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ রয়েছে৷
উত্তরের ৫৪ কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের পিয়ারিছড়া বাগানের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্ত্রিক ও ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ মিলেছে৷ যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন প্রেমানন্দ গটুয়ার (৪৮), বিজয় গাটুয়ার (৪২), রাজ কুমার মুন্ডা (৪৫), মনি কালন্দি (আশাকর্মী)(৪৬), বাজার মিনি কালন্দি (৪৫), অনিতা গড় (৭), দিপু গড় (২), বাঘালু ডুপি (৬৫) এবং বামু সিং ভুমিজ (২৭)৷ সকলেই দাস্ত, বমি করে মারা গিয়েছেন৷ বিগত এক মাস যাবৎ পিয়ারিছড়া, রানিবাড়ি, পোসাইছড়ি এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও পিয়ারিছড়া এলাকায় ৮ জন পুরুষ, মহিলা ও শিশু মারা গিয়েছেন৷
তবে, উত্তর জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের সিএমও শঙ্কর দাসের নেতৃত্বে প্রতিদিন পিয়ারিছড়া, রানিবাড়ি ও সোনাইছড়িতে মেডিক্যাল টিম গিয়ে স্বাস্থ্য শিবির করছেন৷ এখন পরিস্থিতিটা কিছুটা স্বাভাবিক বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷ প্রশাসনিক তরফ থেকে নিহতদের পরিবারকে কোন আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়নি৷ ঐ তিনটি অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ চা বাগিচায় কর্মরত জনজাতি অংশের মানুষ৷ ভয়ে কোন মানুষ ঐ এলাকাগুলিতে প্রবেশ করছেন না৷ এলাকার জনগণ সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকছেন৷ বিশেষ করে কাপড় চোপড় প্রতিনিয়ত ধোয়ে দিচ্ছেন৷ জনগণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন কখন কে দাস্ত বমি করে মারা যায় তা এখন ভয়ের একমাত্র কারণ৷
এদিকে, একাংশের অভিযোগ স্বাস্থ্য শিবির করে যেসব সরকারি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তা কাজ করছেনা বলে জনগণের অভিযোগ৷ অপরদিকে সিএমও শঙ্কর দাস টেলিফোে জানান, উনারা রিপোর্ট আগরতলায় পঠিয়েছেন৷ ফাইন্যাল রিপোর্ট আসলেই তিনি বলতে পারবেন আসলে এই রোগটা ডায়রিয়া না অন্য কোন রোগ৷ এখন দেখার নতুন সরকার এই ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে৷
