রায়পুর, ২ মার্চ (হি.স.): ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বিজাপুর জেলায়, ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হল ১২ জন মাওবাদী| তবে দুঃসংবাদ হল, মাওবাদী দমন অভিযানে আহত হন চারজন পুলিশ কর্মী| পরে তাঁদের মধ্যে সুশীল কুমার নামে একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে| তিনি অ্যান্টি-ফোর্স গ্রেহাউন্ডের সদস্য| স্পেশ্যাল ডিজি (মাওবাদী অভিযান) ডি এম অবস্থি জানিয়েছেন, বিজাপুর জেলার পূজারি কাঙ্কের এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় ছত্তিশগড় পুলিশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশ| যৌথ অভিযানে খতম হয়েছে ১২ জন মাওবাদী| এছাড়াও আহত হয়েছেন চারজন পুলিশ কর্মী| পরে একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে|
বিজাপুরের পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোররাতে প্রথমে ছত্তিশগড়ের বীজাপুর জেলার পূজারি কাঙ্কের এলাকায় (রায়পুর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে) যৌথভাবে অভিযান চালায় ছত্তিশগড় পুলিশ ও তেলেঙ্গানা পুলিশ| এরপর তেলেঙ্গানা-ছত্তিশগড় সীমান্তে, তেলেঙ্গানার জয়শঙ্কর ভুপালাপল্লি জেলায় ভেঙ্কটাপুরম গ্রামের কাছে জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় শুরু হয়| নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয় ১২ জন মাওবাদী| নিহত মাওবাদীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দু’জনের নাম জানা গিয়েছে, তারা হল-দামোদর এবং লক্ষ্মান্না| পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর তেলেঙ্গানা স্পেশ্যাল জোনের প্রধান ছিল দামোদর|
যৌথ অভিযানে সাফল্য যেমন মিলেছে, তেমনই অকালে চলে গেল একজন পুলিশ কর্মীর প্রাণ| মাওবাদী দমন অভিযানে আহত হন চারজন পুলিশ কর্মী| পরে তাঁদের মধ্যে সুশীল কুমার নামে একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে| তিনি অ্যান্টি-ফোর্স গ্রেহাউন্ডের সদস্য| বস্তার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, চারজন মহিলা সহ ১০ জন মাওবাদীর দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে| এনকাউন্টারে নিহত ১২ জন মাওবাদীর জন্য ৬ জন হল মহিলা| পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০-৬০ জন মাওবাদী বিশেষ সভায় মিলিত হয়েছিল| নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন মাওবাদীর| বাকি মাওবাদীরা সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়|