BRAKING NEWS

ভোটের ফল ঃ স্নায়ুর চাপ বাড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হলেও ভোট গণনা ও গণনা পরবর্তী সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে নানা মহলে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ক্যাডারদের বক্তব্য সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলেেছ৷ উভয় দলই কর্মী সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে ক্ষমতায় ফিরে আসছে বলে দৃঢ় আশ্বাসবানী শুনাচ্ছে৷ দুই প্রধান প্রতিপক্ষ সিপিএম এবং বিজেপি আইপিএফটি জোট জোর গলায় সওয়াল করে বলেছে ৪০টির বেশী আসন পেয়ে তারা ক্ষমতায় ফিরছে৷ উভয়পক্ষই তাদের সপক্ষে জয়ী হওয়ার যুক্তি উপস্থাপন করে চলেছে৷ পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে এসে ঠেকতে শুরু করেছে অনেক জায়গাতেই স্বদলীয় সমর্থকরা নেতাদের বক্তব্যে এখন আর ভরসা রাখতে পারছেন না৷ প্রচার মাধ্যমগুলিও ভিন্ন ভিন্ন হিসেব উপস্থাপন করে সবকিছু গোলমেলে করে গিচ্ছে৷ তাতে বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে৷ সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রবণতা হলো সোশ্যাল মিডিয়া৷ এই মাধ্যমে এমন সব মন্তব্য ও হিসেব দেওয়া হচ্ছে যা দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন৷ বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছেন সাধারণ নাগরিকরা৷ এবার নির্বাচনে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট যুক্ত করায় এই ব্যবস্থার প্রতি জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও অনেকটা বেড়েছে৷ এই ব্যবস্থায় ভোট কারচুপির সুযোগ খুবই কম৷ এছাড়া ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে সর্বক্ষণ ওয়েবকাস্টিং এর ব্যবস্থা করায় জনগণ আরও বেশী আশ্বস্থ হয়েছেন৷ সে কারণেই রাজনৈতিক দলগুলিও এবার ভোট গ্রহণ শেষে ছাপ্পা ভোট বা বুথ দখলের অভিযোগ আনার সাহস পায়নি৷ জনগণের আত্মবিশ্বাস এবার সত্যিকার অর্থেই নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ভোট করার সুযোগ করে দিয়েছে৷ এবারের নির্বাচনে ডান বাম যে দলই জয়ী হউক না কেন সেই দল সত্যিকার অর্থেই জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছে বলে ধরে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষও৷ তবে, ক্ষুদ্র একটি অংশ হলেও সন্দিহান রয়েছে প্রযুক্তির অপব্যবহার রয়েছে কিনা তা নিয়ে এই অংশের মানুষের মধ্যে সন্দেহের দানা বাধছে৷ যাই হোক, হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন পার হলেই অর্থাৎ ৩রা মার্চ ভোট গণনা৷ সেদিনই জানা যাবে রাজ্যের মসনদে কারা অধিষ্ঠিত হচ্ছেন৷ রাজ্যের জনগণ সেই দলটির জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *