বহিঃরাজ্যে পাচারকালে ধর্মনগরে গাঁজাসহ আটক পাচারকারী, পলাতক আরও তিনজন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারি৷৷ তিন দিকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেরা রাজ্য ত্রিপুরা গাঁজা চাষ ও গাঁজা পাচারের মৃগয়াভূমিতে পরিণত হয়েছে৷ গাঁজা কারবারীরা পাচারের নতুন নতুন পথ খঁুজছে৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচার করতে গিয়ে এক পাচারকারী পাকড়াও হয়েছে৷ অপর কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে৷ আটক পাচারকারীর নাম নুরুল ইসলাম৷ একটি নাইট সুপারে ৩৯ কেজি গাঁজা চারটি ব্যাগ ভর্তি করে বহিঃরাজ্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা৷ কিন্তু, তাদের প্রয়াস সফল হয়নি৷ আটক গাঁজা পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে৷ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রী সেজে চার ব্যাগ গাঁজা নিয়ে আগরতলা থেকে ট্রেনে উঠে চার পাচারকারী৷ তারা ধর্মনগর স্টেশনে নেমে অন্যপথ অবলম্বন করে৷ বৃহস্পতিবার ধর্মনগর আইএসবিটি থেকে গুয়াহাটিগামী নাইট সুপারে উঠে তারা৷ তাতে বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সন্দেহ হয়৷ ব্যাগে কি আছে জানতে চাইলে গাঁজা ভর্তি ব্যাগ গাড়িতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে পাচারকারীরা৷ তাদের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ নুরুল ইসলাম নামে এক পাচারকারী পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷ স্থানীয় মানুষ তাকে পাকড়াও করেন৷ তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷ একঘন্টারও বেশী সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি৷ আটক গাঁজা পাচারকারীকে টিএসআর বাহিনীর হাতে তুলে দেন স্থানীয় জনগণ৷ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশের বোঝাপড়া রয়েছে৷ সে কারণেই গাঁজা সহ পাচারকারীকে আটক করার খবর দেওয়া সত্বেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি৷ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভে পুসছেন এলাকাবাসী৷ অবশ্য এ ব্যাপারে ধর্মনগর থানার পুলিশ পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রুজু করেছে৷ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে৷ এই পাচারচক্রে জড়িত অপর তিনজনের নামধামও পুলিশ জানতে পেরেছে৷ তাদের মধ্যে মহিলাও রয়েছে৷