নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : নীরব মোদীর জালিয়াতি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা দু’টি জনস্বার্থ মামলার সরাসরি বিরোধিতা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল সওয়াল করেন। আর সেখানেই এই মামলার বিপক্ষে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বুধবার সরকারি কৌঁসুলি অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, তাঁরা এই জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করছেন। কারণ, ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এই প্রেক্ষিতে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। পিএনবি-র জালিয়াতির ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত নীরব মোদী ও অন্য অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পেশ হওয়া আবেদনের এদিন শুনানি ছিল। এই আবেদনের প্রতিবাদ জানায় কেন্দ্র|
প্রসঙ্গত, ওই জনস্বার্থ মামলায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় অর্থ ও আইনমন্ত্রককে পক্ষ হিসেবে যুক্ত করেছিলেন মামলাকারী আইনজীবী বিনীত ধন্দা। সেখানে আবেদন বলা হয়েছিল, আগামী ২ মাসের মধ্যে নীরব সহ অন্যান্য অভিযুক্তের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।
বিনীতের আবেদন, এই প্রতারণার তদন্ত করতে যেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। একইসঙ্গে, এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পিএনবি-র শীর্ষ আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক বলেও দাবি করেন তিনি। আলাদা ভাবে দু’টি জনস্বার্থ আর্জি জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে এবং দু’টি আবেদনই শুনতে রাজি হয় আদালত। বিনীত, নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, অন্যদিকে গোকুলনাথ শেট্টি ছাড়াও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অন্য কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, শীর্ষ আদালতে আরেকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন মনোহর লাল শর্মা। সেখানে তিনি জানান, সর্বোচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়েই যেন সিট গঠন করা হয়। তাঁর দাবি, এই ব্যাঙ্ক প্রতারণার ফলে সাধারণ জনতা এবং রাজ কোষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে, তদন্ত এমন কাউকে দিয়ে করানো উচিত যিনি সরকার বা রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। এদিকে এই মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা এই জালিয়াতি কাণ্ডে পৃথক পৃথক ভাবে তদন্ত করছে। তাই নিরপেক্ষ কোনও তদন্তকারী দল বা ‘সিট’ গঠনের প্রয়োজন নেই। সব শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৬ মার্চ ধার্য করেছে।