নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারি৷৷ বিজেপি এবং আইপিএফটির মধ্যে সমঝোতাপত্র বুধবার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে৷
উভয় দলের সভাপতির স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণাপত্রে উল্লেখ নেই পৃথক রাজ্যের৷ ত্রিপুরায় বিজেপি’র নির্বাচনী প্রাভারী তথা অসমের অর্থমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, আর্থ-সামাজিক, সাংসৃকতিক এবং ভাষাগত উন্নয়নের বিষয়েই যৌথ ঘোষনাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ শুধু উপজাতিই নয়, এতে রয়েছে সাধারণ মানুষের নূ্যনতম চাহিদার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও৷ যা রাজ্য থেকে কার্যত অবলুপ্ত হয়ে গেছে বামশাসনে৷ বিজেপি -আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসার পর যে ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে সেগুলির মধ্যে সিপিআইএম-এর অপশাসনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, বিজেপি – আইপিফটি জোট ক্ষমতায় এলে ৫০ হাজার সরকারি চাকরি দেওয়া হবে৷ যদিও আরও ৪০ হাজার শূন্যপদ থেকে যাবে৷ সরকারি চাকরি ছাড়াও কর্মসংস্থানের অনেক পথ উন্মুক্ত হবে৷ নতুন ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে নতুন সরকার যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করবে৷ পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে সিপিআইএম-এর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আইপিএফটির নিজের কর্মসূচি থাকতেই পারে৷ কিন্তু যৌথ ঘোষণাপত্রে এ ধরনের কোনও বিষয় নেই৷ যেমন বিজেপি-র কর্মসূচিতে জাতীয়স্তরের রামমন্দির তৈরি করা একটি বড় ইস্যু৷ কিন্তু এনডিএতে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা রামমন্দির তৈরির বিরোধী৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, এই জোট নিয়ে শাসকদল ইতিমধ্যেই বিস্তর সমালোচনা শুরু করেছে এবং বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রচারে নিয়ে এসেছে৷ বিষয়টিকে রাজ্যভাগের চক্রান্ত ও বলেছেন বাম নেতারা৷
বৈদ্যুতিক ভোটযন্ত্র (ইভিএম) এর কারচুপি হচ্ছে বলে সিপিআইএম-এর অভিযোগকে হাস্যকর এবং পরাজয়ের ভীতি বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি৷ বিজেপির রাজ্য নির্বাচনী প্রভারী তথা অসমের অর্থমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, সিপিআইএমকে বিজেপি ভূত তাড়াচ্ছে৷ বিজেপির রাজ্য নির্বাচনী প্রভারী শর্মা বলেন, সিপিআইএম বুঝে গেছে, পরাজয় নিশ্চিত৷ জনগণের সামনে তুলে ধরার মতো কিছুই পাচ্ছে না তারা৷ পরাজয়ের কারণ খুঁজছে সিপিআইএম৷ কোনওভাবে নিজেদের জনসমক্ষে অস্তিত্বের জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে পার্টি৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় সিপিআইএম এর জামানত বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ তিনি বলেন, সিপিআইএম এর অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ যে অম্পিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটযন্ত্র নিয়ে অভিযোগ তুলেছে সিপিআইএম, সেই কেন্দ্রে বিজেপি’র কোনও প্রার্থীই নেই৷ জোটসঙ্গী আইপিএফটি প্রার্থী দিয়েছে ওখানে৷ বিজেপি-র পদ্মফুল চিহ্ণ-না থাকলে সেই চিহ্ণে ভোট দেওয়ার প্রশ্ণই উঠে না৷ সিপিআইএম ওখানে ভূত দেখেছে৷ তিনি আরও বলেন, তারপরেও নির্বাচন কমিশন স্বাভাবিক নিয়মেই সমস্ত ভোটযন্ত্র পরীক্ষা করে ভোটের কাজে সেগুলি ব্যবহারের জন্য দিয়ে থাকে৷ সেগুলিতে কোনও ধরনের সমস্যা থাকার কথা নয়৷ আবার ভোট পর্ব শুরুর আগেও এগুলি পরীক্ষা করা হয়৷ তিনি কটাক্ষ করে বলেন, এখন শেষের পালা৷ বিজেপি নিশ্চিত জয়ের পথে এগিয়ে চলছে৷ এখন চাইলে সিপিআইএম যে কাউকে সিইও করতে পারে৷ বর্তমান সিইও বদল করতে পারে৷ আবার সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর নিজেই সিইও হয়ে যেতে পারেন৷ তাতে বিজেপি’র কোনও আপত্তি থাকবে না৷ বিজেপি-র জয় সুনিশ্চিত৷