নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে আগরতলা শহরের জয়নগর এলাকা৷
সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনায় গোটা রাজধানীতে আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করেছে৷ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান৷ সেই সাথে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে৷ সংঘর্ষে দশজন আহত হয়েছেন৷ আহতরা প্রত্যেকেই বিজেপির বলে দাবি করেছে দল৷ আহতদের মধ্যে দুজন মহিলাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় যখন বিজেপির পথসভাকে কেন্দ্র করে৷
সংবাদে প্রকাশ, সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপির পক্ষ থেকে জয়নগরের রাজনগর এলাকায় একটি পথসভা করা হয়৷ এই পথসভা শেষ হওয়ার পর দলীয় কর্মী সমর্থকরা যখন যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল তখনই ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা৷ বিজেপির অভিযোগ দলীয় কর্মীদের উপর সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়৷ তখন সেখানে উপস্থিত ছিল কয়েকজন টিএসআর জওয়ান৷ হামলার মুখে পড়ে বিজেপির কর্মীরা রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়েন৷ বিভিন্ন এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে হামলার বিষয়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর সংখ্যায় বিজেপি কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং সিপিএম ক্যাডারদের হামলা প্রতিরোধ করে৷ পরিস্থিতি মুহুর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে৷ দুই দলের কর্মীদের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে টিএসআর জওয়ানরা মৃদু লাঠি চার্জ করে বলে জানা গিয়েছে৷ হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরজিৎ দত্ত৷ তিনিও হামলাকারীদের আক্রমণের মুখে পড়েন৷ তিনি কোনও রকমে প্রাণ রক্ষা করেন৷ খবর পেয়ে পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি সহ বিশাল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে৷ সুরজিৎ দত্তকে কোনওরকমে দলীয় কর্মীরা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন৷ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রদেশ সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত সহ দলীয় কর্মীরা৷ পুলিশের সামনে বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেছেন সিপিএমের ক্যাডাররা স্থানীয় একটি আবাসনের ভেতরে প্রবেশ করে আত্মগোপন করে আছে৷ পুলিশ যাতে তাদের ধরে নিয়ে আসে৷ পুলিশ সেই মোতাবেক ঐ আবাসানে তল্লাসী চালায়৷
পরে বিজেপির তরফ থেকে পশ্চিম আগারতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়৷ এদিকে, এদিনের সংঘর্ষে আহতরা হলেন গোবিন্দ বসাক, রাকেশ ধর, সুকেশ সরকার, সুকুমার পাল, পিনু মিয়া, জহর দাস৷ বাকিদের নাম জানা যায়নি৷ দশ জনের মধ্যে দুইজন মহিলাও রয়েছেন৷ এদিকে, এই সংঘর্ষের ঘটনার পর গোটা জয়নগর ও আশেপাশের এলাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের দোকনপাট বন্ধ করে দিয়েছেন৷ এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে উঠে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশের পদস্থ অফিসাররা পরিস্থিতির দিকে নদর রেখে চলেছেন৷ শহরের অন্যান্য এলাকাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷